আজমিরীগঞ্জ বিরাট কুশিয়ারা গুচ্ছ গ্রামের সরকারী পুকুরের মাছ লোপাটের ঘঠনা তদন্ত
আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিরাট কুশিয়ারা গুচ্ছ গ্রামের সরকারী পুকুর থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ ধরে বিক্রয় করে দিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী প্রশাসন চোখঁ ফাকি দিয়ে। এ নিয়ে এলাকায় রসালো আলোচনার ঝড় বইছে।
মাছ ধরে বিক্রয়ের ব্যাপারে দৈনিক হবিগঞ্জের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হলে উপজেলা প্রশাসন গতকাল রবিবার বিকাল ৩ টার সময় অভিযুক্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য বিরাট কুশিয়ারা গুচ্ছ গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য ও ঘঠনা স্হল পরিদর্শন করেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি উত্তম কুমার দাস। তদন্তের সময় গুচ্ছ গ্রামের নারী পুরুষ সহ শতাধিক মানুষ পি আই ও মোহাম্মদ আলীর মাছ লোপাটের বিষয়ে সাক্ষ্য দেন। এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাস সাংবাদিকদের জানায় মাছ ধরার ঘঠনার সততা পেয়েছি,তদন্ত চলছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য যে সদর ইউনিয়নে বিরাট কুশিয়ারা গুচ্ছ গ্রাম নির্মানের সময় প্রায় দেড় একর জায়গায় একটি পুকুর নির্মান করা হয়,বর্তমান মৌসুমে অকাল বন্যায় পুকুর টি ডুবে যায়,উক্ত পুকুরে গুচ্ছ গ্রামের অসহায় বসবাস কারী পরিবার মিলে মাছ আটকানোর জন্য কাটা দিয়ে রাখেন। এতে লোভ পড়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা পিআইও মোহাম্মদ আলীর,তিনি এলাকার জেলেদের দিয়ে গতকাল শুক্রবার সারা রাত্র পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরেন। এতে গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা বাধা দিলে ও তাতে কোন কর্ণপাত করেনি পিআইও মোহাম্মদ আলী। সকালে মাছ বানিয়াচংয়ে বিক্রি করার জন্য পাঠিয়ে দিতে গেলে এলাকাবাসী বাধা দেন,তখন পিআইও মোহাম্মদ আলী বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে তিনি মাছ ধরছেন,এ বিষয়ে এলাকাবাসী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারী ভূমি কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানায় মাছ ধরার বিষয়ে আমাকে বলেনি পিআইও। এ ব্যপারে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দেয়।