কক্সবাজার সদর থানার ওসি খায়রুজ্জামান ও টেকনাফ থানার ওসি আবুল ফয়সলকে প্রত্যাহার
ওসমান আল হুমাম,কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।
টেকনাফে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে গত ৫ আগস্ট’২০ প্রত্যাহার করা হয়। ওই দিন একই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এপিএম দোহাকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এপিএম দোহার যোগদানের ৩দিনের মাথায়
গত (৮আগষ্ট) শনিবার তাকে চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিস ডিআইজি কার্যালয়ের এক জরুরি আদেশে তাকে সরিয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়।
পরে ৮ আগষ্ট শনিবার কুমিল্লার চান্দিনা থানার ওসি
মো. আবুল ফয়সলকে বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিলো।
তবে আজ আবারো টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল ফয়সলকেও প্রত্যাহার করে এপিবিএনে (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) বদলি করা হয়।
গত ১৩ দিনের ব্যবধানে টেকনাফ থানায় বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ মোট ৩জন ওসি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
আজ ২০ আগষ্ট রাতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
টেকনাফ থানায় সদ্য যোগদানকৃত ওসি আবুল ফয়সলকে এপিবিএনে (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) এবং সদর থানার ওসি খায়রুজ্জামানকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল তথা শিল্প পুলিশে বদলি করা হয়েছে।
জানা যায়-সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলায় বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্থলাভিষিক্ত হন আবুল ফয়সল। এর আগে তিনি কুমিল্লার চান্দিনা থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তাছাড়া সম্প্রতি কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী নবী হোসেনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন জনতা। পরে থানা পুলিশ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাজতে রাখে। একপর্যায়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে থানাহাজত থেকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দ আবু মুহাম্মদ শাহজাহান কবিরকে প্রত্যাহার করে সিলেট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। পরে পরিদর্শক (তদন্ত) খায়রুজ্জামানকে চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়। একপর্যায়ে গত ১৭ আগস্ট জেলা পুলিশের এক আদেশে পরিদর্শক (তদন্ত) খায়রুজ্জামানকে ওসি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
তবে কি কারণে তাদের বদলি করা হয়েছে তা জানা যায়নি। টেকনাফ থানার ওসি আবুল ফয়সলকে এপিবিএনে ও কক্সবাজার সদর থানার ওসি খায়রুজ্জামানকে শিল্প পুলিশে বদলি করা হয়েছে।