কলাপাড়ায় প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে খাল দখলের উৎসব চলছে ॥

প্রকাশিত: ১১:২১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২০

রাসেল কবির মুরাদ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি; কলাপাড়াৃয় ধানখালী ইউনিয়নে প্রভাবশালীদের সাথে আঁতাত করে ভাড়ানি খালের দুই পাশে অবৈধভাবে
স্থায়ী স্থাপনা তোলার উৎসব চলছে প্রতিনিয়ত। এরফলে এলাকাবাসীর যাতায়তে প্রচুর ব্যাঘাত ও নাব্যতা সংকটে পরছে খালটি, হারিয়ে যেতে বসেছে খালের
চিরাচরিত প্রকৃত রুপ। তাই দ্রুত এসব অবৈধ স্থাপনা উৎখাতের দাবী এলাকাবাসীর।

সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, ধানখালী ইউনিয়নের এক প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় সোমবাড়িয়া বাজারের পাশ দিয়ে ফুলতলি বাজার পর্যন্ত বয়ে যাওয়া ভাড়ানি খাল
নামে সরকারী এ খালের দু-পাশে একাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। ইউনিয়নের সোমবাড়িয়া বাজার, কোডেক বাজার ও ফুলতলি বাজারের দু-পাশে পুরানো দোকান
ঘড়ের পাশাপাশি নতুন করে ইট-বালি-সিমেন্ট দিয়ে পাকা স্থাপনা তোলার হিড়িক চলছে। এসব অবৈধ দোকান-ঘড় তোলায় নাব্যতা সংকটের কারনে হুমকীর মুখে পড়েছে
খালটির পানি প্রবাহ। ফলে কৃষিকাজে পানির সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভূগছে এলাকার সাধারন মানুষ। খাল হারাচ্ছে তার প্রকৃত সৌন্দর্য ও নতুনতা।
সোমবাড়িয়া বাজারের রিয়াজ গাজী, দুলাল জমাদ্দার, জহিরুল মিয়া, কোডেক বাজারের সাত্তার খাঁন ও ফুলতলী বাজারের মাসুম ঢালীসহ একাধিক লোক স্থানীয়
ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে এ ঘড়গুলো তুলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানে যে যার মত খাল দখল করে দোকানঘড় তুলছে। দেখার যেনো কেউ নেই তাই কেউ কিছু বলতেও পারছি না। এভাবে দখল চলতে থাকলে খালটি এক সময় হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খালের এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিবে বলে এলাকাবাসীরা দৃঢ আশা।

খাল দখল করে দোকান ঘড় তোলার মালিক অভিযুক্ত রিয়াজ গাজী ও সাত্তার খাঁনের ছেলে মাসুম খাঁনের সাথে কথা হলে অবৈধ দখলের বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন।
তারা বলেন, সরকারী জমিতে ঘড় তোলা হয়নি, আমাদের রেকর্ডীয় সম্মত্তিতে ঘড় তুলছি। আমাদের কাছে সকল ধরনের কাগজ-পত্র রয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, খাল দখলের বিষয়টি আমার জানা নেই। স্থানীয় তহসিলদারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় সম্ভব
দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।




error: Content is protected !!