কাকাইলছেওয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে ফাটল,পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতংকে বসবাস

প্রকাশিত: ১১:৪৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি-

আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেওয়ের হাজী আব্দুল হেকিম ভূঁইয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজেরঅদূরে ও কুশিয়ারার কালনী নদীর তীরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের মাঝে বরাদ্দকৃত নব-নির্মিত কয়েকটি ঘরের ফ্লোরে ও দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটলের বিভিন্ন অংশে একাধিকবার সিমেন্ট দিয়ে প্রলেপ দিয়েও কোন প্রকার কাজ হচ্ছেনা। এমন কি বেশ কিছু ঘরের ফ্লোর দেবে যায়।
দেয়াল ধসে পড়ার আশংকায় আতংকের মধ্যে বিনিদ্ররজনী যাপন করছে উপকারভূগীরা। কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায়,
আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেওয়ের হাজী আব্দুল হেকিম ভূঁইয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজের অদূরে ও কুশিয়ারার কালনী নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়েছে মুজিব শতবর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫১ টি বসতঘর। প্রায় মাস দু’য়েক আগে উপকার ভূগীদের মাঝে ঘর হস্থান্তর করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায়, ১০/১২ টি পরিবার সেখানে বসবাস ও শুরু করছেন। এরই মধ্যে ৫ টি ঘরের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাকি ঘরগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে।
স্থানীয়রা জানান, নিম্নমানের কাজ করার কারণে ঘর নির্মানের কয়েকদিনের মধ্যেই দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন পরপর নির্মান শ্রমিকরা এসে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে ফাটল বন্ধ করার অপচেষ্টা করেছে। তাতেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা বলে জানান ভূক্তভোগীরা। এমন কি গৃহহীন পরিবারের সদস্যরা নির্মাণকৃত ঘরের চারপাশে নিজেরা মাটি কেটে ভরাট করে বসবাস শুরু করেন। এ ছাড়া ঘরের মধ্যে নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে যে কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে তাও অনেক নিম্নমানের। উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় প্রথম ধাপে ৮৮ ও দ্বিতীয় ধাপে ৩০ ঘর বরাদ্ধ আসে। ঘরগুলো নির্মাণ করে উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরন করা হলেও ১৫ টি ঘরের তালিকায় সমস্যা থাকার কারনে বিতরণ করা হয়নি।
ভূক্তভোগী শচীন্দ্র শীল ও মোছাঃ বিলকিস বেগমের ঘরে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের চারদিকে দেয়ালের গোড়ায় ফাটল। ধসে পড়ার অজানা আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছেন তারা। মোছাঃ বিলকিস বেগম ও শচিন্দ শীল জানান, আমরা ছোট শিশুদের নিয়ে আতংকের মধ্যে রাত্রি যাপন সহ ঘরে বসবাস করছি। ফাটল দেখা দেয়া দেয়াল ধ্বসে পড়লে হতাহতের আশংকা রয়েছে। কয়েকদিন আগে নির্মাণ শ্রমিকরা এসে ফাটলগুলোতে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে যায়।
নিম্নমানের কাজের কাজ করার কারণে দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে বলেও জানান তিনি। একই কথা বলেন, আরও কয়েকটি ঘরের মালিক ও একই আতংকের কথা জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মতিউর রহমান খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।




error: Content is protected !!