নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : নবান্ন উৎসব মানে নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে পাওয়া চালের প্রথম রান্নার আয়োজন। বগুড়ার নন্দীগ্রাম এলাকায় নবান্ন উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ হলো হরেক রকম মাছের মেলা।
পঞ্জিকা অনুসারে শনিবার পহেলা অগ্রহায়ণ হওয়ায় এই এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নবান্ন উৎসব পালন করছে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বসে মাছের মেলা।
সরেজমিন উপজেলার রণবাঘা ও ওমরপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে সারি সারি মাছের দোকান। সেখানে থরে থরে সাজানো রুই, কাতল, মৃগেল, চিতল, সিলভারকার্প, বিগহেড ও বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ। আর লোকজন ব্যাপক উৎসাহের সাথে কিনেন এসব মাছ। কোনো কোনো মাছ বিক্রেতা বিশাল আকৃতির মাছগুলোর মাথা ওপরে তুলে ধরে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণেরও চেষ্টা করে।
জানতে চাইলে মাছ বিক্রেতা নান্নু মিয়া বলেন, ‘নবান্ন উৎসব ঘিরে বড় বড় মাছ বাজারে বিক্রয় করতে আনি। এবার মাছের বাজার একেবারেই স্বাভাবিক। বিগহেড ও সিলভারকার্প ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই ও কাতল ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকা, চিতল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং বোয়াল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
মাছ ক্রেতা জগন্নাথ শীল বলেন, মাছের দাম বেশি তবুও আমি কাতল মাছ ৫৫০ টাকা ও বিগহেড ৪০০ টাকা ও কেজি দরে কিনেছি। এবার বাজারে চিতল ও বোয়াল মাছ তেমন পাইনি।
মাছ কিনতে আসা আলমগীর কবির বাবু বলেন, হিন্দুদের এই নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বাজারে বড় বড় মাছ আসে। বিগহেড, সিলভারকার্প, রুই, কাতলসহ সব ধরনের মাছের দামি বেশি।