পীরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে আম চাষিদের ব্যপক ক্ষতি পুঁজি হারিয়ে পথে বসার দশা।।

প্রকাশিত: ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ, মে ২৬, ২০২০

মোঃ আসাদুজ্জামান,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার উত্তর গুয়াগাঁও এলাকায়সহ ভেমটিয়া, বিরহলী, ভেলাড়ৈড়, চাপোড়, মালঞ্চাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে আম চাষিদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
ভেঙে পড়েছে শত শত আম বাগানসহ বিভিন্ন গাছপালা। বিধ্বস্ত অসংখ্য কাঁচা ও আধাপাকা বাড়িঘর। ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। রবিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে এই ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, রতে ঝড়েই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় কয়েকটি গ্রাম। গাছ ভেঙে পড়ে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তায় যান চলাচল। ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে চাপা পড়ে অনেক বাড়িঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আম, কাঁঠাল, লিচু সহ ফসলের ক্ষেত। বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ায় অনেকে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
উত্তর গুয়াগাও মহল্লার আম বাগান মালি মাহবুব আলমের ছেলে
বাপ্পি জানান, রাতের বেলায় ঝড়ে আমার প্রায় বেশ কয়েকশো মন মাটিতে পড়ে গেছেছে যার ক্ষতি হবে ১৫ লক্ষ টাকা, তাছাড়া গাছপালা ও ঘড়বাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। বাগান মালিক সাজু জানান আমার প্রায় ১২ হতে ১৫ লক্ষ টাকা হবে ক্ষতি হয়েছে এখন আমি কি করবো, আমার কিটনাশক দোকানে ৭/৮ লাখ টাকা বাকি আছে আমি পথে বসেগেছি, রিন নেওয়া আছে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আমি একন কি করবো সরকার যাদি আমাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে হয়তো কিছু একটা হবে।

আম বাগানের মালি বান্টি জানান, আমাদের পীরগঞ্জ উপজেলায় প্রয়া ৮০ হতে ৯০ জন আম বাগান মালিক আছে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কৃষকের ক্ষতি হয়েছে ৮ হতে ৯শো মোন আম পরে গেছে।
আরো কয়েকজন কৃষক জানান, আম, লিচু, কাঁঠালসহ অসংখ্য বনজ গাছ উপড়ে গেছে এবং ডাল ভেঙে প্রায় ন্যাড়া হয়ে গেছে। এদিকে বোরো ও ভুট্টা ক্ষেত বাতাসে মাটির সাথে নুয়ে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এই বিষয় পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা
এস এম গোলাম সারওয়ার মুঠোফোনে জানান,আমাদের ১১শো ৫০ হেক্টর আম বাগান আছে তার মধ্যে ২৫ হেক্টর আম বাগানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে , এছাড়াও আম বাগান
চাষিদের ১৫ দিন আগে তালিকা করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে, তবে যারা বাদ পরেছে তাঁর কৃষি অফিসে এসে যোগাযোগ পারে তাদেরও তালিকা যাবে

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম জানান
এই বিষয়ে কৃষক অফিসারের সাথে কথা হয়েছে ঝড়ে যে ক্ষতি হয়েছে তা কৃষি অফিসের লোকজন দেখছেন প্রয়োজনে আমি ও যাবো।

একদিকে করোনার প্রভাবে অনেক মানুষ কর্মহীন। তার উপর কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে গ্রামীন জনজীবন। এতে দিশেহারা অাম চাষিসহ অসহায় এসব মানুষ।যে অবস্থা হয়েছে তাতে পুঁজি হারিয়ে চাষিদের পথে বসার দশা।




error: Content is protected !!