মাওলানা সৈয়দ আবুল কালাম, ইসলামী আলোচক বাংলাদেশ টেলিভিশন ও এশিয়ান টিভি ঢাকা।
বিলম্বে সেহরি খাওয়ার সুফল; বিলম্ব করে সেহরি খাওয়াতে রাসূলের সুন্নতের ওপর আমল ছাড়াও একটি বিশেষ লাভ হলো, সুবহে সাদিকের আগ মুহূর্তে সেহরি খাওয়ার পরে অল্প সময়ের ব্যবধানে ফজরের আজান হয়ে যায়। তাই সেহরি শেষে তাড়াতাড়ি ফজরের নামাজ আদায় করে বেশ কিছুটা সময় বিশ্রাম নেওয়ার জন্য পাওয়া যায়। বিশ্রাম শেষে দিনের স্বাভাবিক কাজকর্মে আত্মনিয়োগ করলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। বিপরীত দিকে সুবহে সাদিকের অনেক আগে সেহরি খেলে, ফজরের নামাজের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা বেশ কষ্টকর। আবার সেহরি খেয়ে ঘুমিয়ে গেলে ঘুম থেকে পুনরায় উঠে নামাজ পড়াটা আরো বেশি কষ্টকর। এ অবস্থাতে ফজরের নামাজ কাজা হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। আমাদের সমাজে অনেককে দেখা যায়, সারা রাত টিভি-সিনেমা দেখে অথবা গল্প-গুজব করে, আড্ডা মেরে সময় পার করে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে ঘুমাতে যান। এটা খুবই খারাপ অভ্যাস। আল্লাহর হুকুম পালনের প্রস্তুতি আল্লাহর নাফরমানির মাধ্যমে জঘন্য পাপাচার ছাড়া অন্য কিছু নয়। তা ছাড়া ঘুম থেকে উঠে খাবার গ্রহণের নামই সেহরি এবং সেটাই সুন্নত। তবে কাউকে যদি পেশাগত দায়িত্ব পালনে অথবা কোনো জরুরি কারণে সারা রাত জেগে থাকতে হয়, তার ব্যাপারটা ভিন্ন। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে শরিয়তের বিধান অনুযায়ী ফরজ আমলগুলো আদায়ের তাওফিক দান করুন।