হাটহাজারীর হালদার পাড়ে আন্তর্জাতিক মিঠা পানির ডলফিন দিবস পালিত

প্রকাশিত: ৬:৩৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২০

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী; হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের শহীদুল্লাহ একাডেমীর হলরুমে আন্তর্জাতিক মিঠা পানির ডলফিন দিবস’২০ পালিত হয়েছে।

শনিবার(২৪অক্টোবর) বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের আয়োজনে এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, হালদা বিশ্বের অন্যতম একটি প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদাকে বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ ঘোষণার জন্য কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। আর যদি হালদাকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয় তাহলে বিশ্বের বুকে এটি একটি অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে। যারা হালদা পাড়ের বাসিন্দা তারা বুক ফুলিয়ে গর্ব করে বলতে পারবে আমাদের হালদা বিশ্বের ঐতিহ্যে স্থান পেয়েছে। তাই হালদাকে সবার বাঁচাতে হবে। হালদা পাড়ের বাসিন্দাদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, হালদাকে বাঁচাতে পুলিশ, সেনাবাহিনী কিংবা ম্যাজিষ্ট্রেটের পাহাড়ায় কাজ হবেনা এর জন্য হালদাবাসীদের পাহাড়া দিতে হবে। প্রতিজ্ঞা করতে হবে আজ থেকে কোন মাছ শিকারীর জাল, কোন ড্রেজার, কোন যান্ত্রিক নৌকা চলতে পারবেনা এটা যদি নিশ্চিত করা যায় তাহলে অবশ্যই হালদা রক্ষা হবে আর নদী রক্ষা হলে রক্ষা হবে জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী ডলফিন। হালদা রক্ষার্তে ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি নৌ পুলিশ টহলে নেমেছে। আর খুব শীঘ্রই হালদা পাড়ে নৌ থানা স্থাপন করা হচ্ছে। 

রাউজান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম বলেন, প্রশাসন হালদাকে রক্ষার্তে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু তারপরও কিছু কিছু স্থানে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, ইঞ্জিনচালিত নৌকা এবং জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা যাচ্ছে। তাই আমাদের আরো কঠোর হতে হবে একইসাথে স্থানীয়দের এগিয়ে আসতে হবে হালদা রক্ষায়।

রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম এহছানুল হায়দার বাবুল হালদার অনুষ্ঠান হালদা পাড়ে আয়োজন করায় আয়োজককারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, হালদার জন্য প্রশাসনের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সবাই কাজ করছে কিন্তু একটা বিষয় ভাবায় হালদা গবেষণার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২কোটি টাকা বাজেট হয় অপরদিকে হালদায় পোণা অবমুক্ত করার জন্য মাত্র ১লাখ টাকা। যদি হালদার জন্য সঠিক বরাদ্দ বা বাজেট না হয় তাহলে হালদা নিয়ে কিভাবে কাজ করা যাবে। তাই হালদার জন্য সঠিক কাজে পর্যাপ্ত টাকা বরাদ্দের আহবান জানান তিনি।

বেলা ১২টা থেকে সভায় আরো বক্তব্যে রাখেন, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন, হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল কিবরীয়া, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বৈজ্ঞানিক ড. আনিছুজ্জামান খাঁন, গড়দুয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মোর্শেদ তালুকদার।

এ সময় রাউজান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ, ফটিকছড়ি উপজেলার সায়দুল আরেফিন, বোয়ালখালী উপজেলার আছিয়া খাতুন, হাটহাজারী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নুর“ল আলম বাসেক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোক্তার বেগম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া সভায় গুমানমর্দন ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, দক্ষিণ মাদার্শার আব্দুল মজিদ, উত্তর মাদার্শার মঞ্জুর হোসেন চৌধুরী মাসুদ, মেখলের সালাউদ্দিন চৌধুরী, ছিপাতলী ইউনিয়নের নুর“ল আহসান লাভুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।




error: Content is protected !!