মাওলানা মুফতি রুহুল আমিনঃ
প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর সিদ্দীক রা. জন্ম ৫৭১ খ্রিষ্টাব্দে। ইন্তেকাল ২২ আগষ্ট ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে।
ইসলাম গ্রহণ করার দিন থেকে আমৃত্যু আবু বকর রা. জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্য সকল সাহাবী থেকে অগ্রগামী ছিলেন। রাসূল সা.-এর জীবদ্দশায় যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একজন আদর্শ সৈনিক। রাসূল সা. এর মৃত্যুর পরও তিনি একইভাবে ইসলামের উপর দৃঢ় থাকেন এবং আল্লাহর অনুগ্রহে মুসলিম জাতিকে একতাবদ্ধ রাখতে সক্ষম হন। তাকে অন্যান্য সাহাবীরা যেখানে উসামা রা. এর সৈন্যদলকে ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছিলেন, সেখানে তিনি সঠিক ও দ্ব্যর্থহীনভাবে রাসূল সা. এর ইচ্ছাকে অনুসরণ করে সেটা অব্যাহত রাখেন। যখন মুসলমানরা যাকাত দিতে অস্বীকার করল এবং ভন্ড নবীরা পুরো মুসলিম জাতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াল, আবু বকর রা. তখন খুবই দৃঢ়তার পরিচয় দেন এবং তাদের বিরুদ্ধে চরম আক্রমণাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এরকম আরও অসংখ্য প্রাপ্তিতে সমৃদ্ধ ছিল আবু বকর রা. এর জীবন।
একজন মুসলমান এবং শাসক হিসেবে আবু বকর রা.-এর কর্তৃক গৃহীত নীতিসমূহ কিভাবে একটি শক্তিশালী, দৃঢ় এবং উন্নয়নশীল দেশ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে যা মদীনা থেকে উপত্যকা ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বে বিস্তার লাভ করে।
বন্ধুরা চলুন হযরত আবুবকর সিদ্দীক রা. এর মুখ নিস্তৃত অমিয় বাণী গুলো জেনে নেই..
১. আমাকে নতুন কাপড়ে কাফন দিও না। নতুন কাপড়ের বেশি হকদার বস্ত্রহীন জীবিত লোকেরা।
২. অন্যের সমালোচনা এবং গীবত-শেকায়েত থেকে মুখ বন্ধ রেখো। শান্তিতে থাকতে পারবে।
৩. কালের উত্থান-পতন একটা আশ্চর্য বিষয় এবং পরিবেশ পরিস্হিতি সম্পর্কে গাফেল থাকা অত্যাশ্চর্য বিষয়।
৪. নিজেকে বাঁচিয়ে চলো উপকার পাবে। আমল করো তা অবশ্যাই আল্লাহ পাক কবুল করবেন। ৫. যেদিনটি তোমার জীবন থেকে কমে গেল এবং তুমি সেটাকে কাজে লাগাতে পারলে না, সে দিনের জন্য অশ্রু বিসর্জন করা উচিত।
৬. যে দিনটি তুমি কোন একটা নেক কাজ না করেই পাড় করে দিলে, সেটা একটা বড় ধরনের অপচয়।
৭. সবর করাতে কোন বিপদ আসে না, কান্নাকাটি করাতে শুধু ক্ষতিছাড়া কোন লাভ নেই।
৮. যুদ্ধের মধ্যেও কোন স্ত্রী লোক, পঙ্গু ব্যাক্তি বা শিশু হত্যা করো না।
৯. ফলদায়ক বৃক্ষ কখনো কর্তন করো না।
১০. অপব্যায় বা কৃপণতা কোনোটাই কল্যাণকর নয়।
লেখকঃ মুহাদ্দিস, জামিয়াতুস সুন্নাহ, তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ ও দৈনিক অপরাধ, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি