কলাপাডা পৌরসভার বর্তমান মেযর বিপুল চন্দ্র হাওলাদার আবারো নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে চান ॥
রাসেল কবির মুরাদ,পটুয়াখালী প্রতিনিধি
কলাপাডা পৌরসভার বর্তমান মেযর বিপুল চন্দ্র হাওলাদার ২০১৫ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর নির্বাচিত হওযার মধ্য দিয়ে কলাপাডা পৌরসভায মেযর পদে তিনি যাত্রা শুরু করেন। রহু সীমাবদ্ধতার মধ্যেও গত পাঁচ বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যাল নির্মাণসহ সফলভাবে সম্পন্ন করেন শহীদ শেখ কামাল অডিটোরিযামের নির্মাণ কাজ।জনাব বিপুল চন্দ্র হাওলাদার ১৯৫৮ সনের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন বিপুল
চন্দ্র হাওলাদার। প্রাথমিক, হাইস্কুল পেরিয়ে এইচএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৭৯ সনে কলাপাডা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮১ সন থেকে ১৯৯৭ সন পর্যন্ত কলাপাডা উপজেলা আওযামী লীগের দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক, ১৯৯৭ সন থেকে ২০২০ সন পর্যন্ত পাঁচবার সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি কলাপাডা পৌর আওযামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে এখন পর্যন্ত সুনাম ও সফলতার সাথে এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
দীর্ঘ ৫ বছর বিপুল চন্দ্র হাওলাদার মেয়র থাকাকালীন তার উন্নযন
কর্মকান্ডের মধ্যে দৃষ্টি কেড়েছে শিশুপার্ক ওযার্ক ও ড্রেন-কালভার্ট,
বাসস্ট্যান্ড, সাইক্লোন সেল্টার, সডক বিদ্যুতাযন, পুকুরের চারিধারে
ওযার্কওয়েসহ সৌন্দর্য বর্ধনকারী প্রকল্প। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের
ব্যবস্থায নতুন ওভারহেড ট্যাংকি ও সঞ্চালন পাইপ লাইন স্থাপন, বিশুদ্ধ
পানীয সরবরাহ শাখায নতুন বৃহৎ আকৃতির জেনারেটর স্থাপনের মাধ্যমে
ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা অজু করার সময নিরবিচ্ছিন্ন পানি সেবা পায়। আবাসিক
বাসা-বাড়িতে গৃহিণী ও সব শ্রেণী-পেশার মানুষেরা পাচ্ছে চাহিদা অনুযাযী
পানী। পানি সরবরাহের এই নতুন ব্যবস্থাটি এখন অতুলনীয। কলাপাড়া পৌরবাসীর
ব্যাপক চাহিদা পানি সরবরাহ শাখায় এ জেনারেটর স্থাপন বাংলাদেশের মধ্যে
সর্বপ্রথম বলে দাবি করে পৌর মেয়র হিসেবে তিনি নিজেকে আবারো জনতার মাঝে
ফিরে যাওয়ার আকাঙ্খা অনুভব করেন।
সংবাদকর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন অতিবাহিত করার পর তিনি কলাপাডা প্রেসক্লাবের
সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ২ বছর, পরবর্তীতে টানা ১২ বছর
সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। সনাতন ধর্মের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সভাপতির
দায়িত্বে রয়েছেন ১ যুগেরও বেশি সময । বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিভিন্ন
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে সেবা ও উন্নযনমূলক
কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থেকেছেন সবসময়।
১৯৭৫ সনে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর ধারাবাহিকভাবে বিএনপি, জাতীয
পার্টি ও বিএনপি-জামাত জোট বিভিন্ন মেযাদে ক্ষমতায থাকাকালীন তিনি ও তার
পরিবার বিভিন্নভাবে জেল-জুলুম ও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
১ নং ওযার্ডের বাসিন্দা অলি উল্লাহ এ প্রতিবেদককে বলেন, গত পাঁচ বছরে
বিপুল চন্দ্র হাওলাদার মেয়র থাকাকালীন তার মাধ্যমে কেউই কোনো ক্ষতির
সম্মুখীন হননি।
কলাপাড়া পৌরসভার ৩ নং ওযার্ডের বাসিন্দা ও কলাপাডা উপজেলা আওযামী লীগের
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলম এ প্রতিবেদককে বলেন, গত পাঁচ
বছরে তিনি কোন ব্যক্তিগত বাহিনী তৈরি না করে শান্তিপূর্ণভাবে পৌরসভা
পরিচালনা করেছেন। পৌরসভার উন্নযন কর্মকান্ড যথেষ্ট গতিশীল ছিল। এ কারণে
কলাপাডা উপজেলা আওযামী লীগের এবং তার নিজের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়েছে
বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে আসন্ন নির্বাচনে আওযামীলীগের মনোনযন প্রত্যাশী বিপুল চন্দ্র
হাওলাদার এ প্রতিবেদককে জানান, গত ৫ বছরে পৌরবাসিকে বিভিন্ন উন্নযন
কর্মকান্ডসহ শান্তিপূর্ণভাবে পৌরসভাকে পরিচালনা করা, ৫ বছরে কোন
গুন্ডাবাহিনী কিংবা চাঁদাবাজ বাহিনী ছিলনা যারফলে পৌরবাসী এটাকে
ইতিবাচকভাবে দেখছেন। সেজন্য আগামী ৫ বছর বাংলাদেশ আওযামী লীগ ও কলাপাডা
পৌরবাসী যদি আমাকে আরেকবার সুযোগ দেন তাহলে কলাপাডা পৌরসভা ও পৌরবাসীকে
স্বপ্নের শহরে রূপান্তরিত করার জন্য আরো শ্রম ও নিরলসভাবে কাজ করা হবে
বলে তিনি জানান।