কলাপাড়ায় আয়রন ব্রিজ ভেঙ্গে নদীতে দূর্ভোগে কয়েক গ্রামের মানুষ॥

প্রকাশিত: ১০:২৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২০

রাসেল কবির মুরাদ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি; কলাপাড়ায় নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা খালের ওপর পাখিমারা থেকে কুমিরমারাসহ চারটি গ্রামে চলাচলের একমাত্র আয়রণ ব্রিজটি ভেঙ্গে নদীতে পরে গেছে। বুধবার দিবাগত রাতে হঠাৎ বিকট শব্দে ব্রিজটি ভেঙ্গে খালের মধ্যে ডুবে গেছে। ১১৬ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটির প্রায় ১০০ মিটার ধসে পড়ে ডুবে গেছে। তবে এতে কোন
হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আয়রন ব্রিজ ভাঙ্গার খবর শুনে কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভীন সীমা কলাপাড়া এলজিইডির
প্রকৌশলী মো: দেলোয়ার হোসেনসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পাখিমারা খালের ভেঙ্গে যাওয়া ব্রীজটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেন দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রীজটির
সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে জনসাধারনের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করবেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাখিমারার এ আয়রন ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সবজির গ্রাম খ্যাত কুমিরমারা, মজিদপুর, বাইনতলা, এলেমপুর ও
ফরিদগঞ্জ গ্রামের সবজিচাষীরা এখন চরম বিপাকে পড়েছেন। কারন এ ব্রিজটি পেড়িয়ে উৎপাদিত সবজি কৃষকরা বাজারজাত করতেন। এসব গ্রামের কৃষকরা ১২ মাস সবজির আবাদ করছেন। ফলে সবজি চাষীসহ স্কুল-মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষ এখন চরম বিপাকে পড়েছেন। হতাশা ব্যক্ত করেছেন চাষীরা। সবজি চাষী জাকির হোসেন জানান, এ ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় তাদের জীবন-জীবিকায় প্রভাব পড়বে। পাখিমারা খালের ওপর ব্রিজটি ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে নির্মিত হয়।
দুই দফায় স্ট্রাকচার নির্মাণে ৩০ লাখ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ব্রিজটি নির্মাণ করে। পুরনো আয়রণ ব্রিজের মালামাল ব্যবহারের কারণে ব্রিজটি ধসে পড়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। এছাড়া বহু ক্রস এ্যাঙ্গেল দেয়া হয়নি। আয়রন খুটিগুলো
যথাযথভাবে বসানো হয়নি বলেও জানা গেছে। তবে ওই স্পটে জরুরী ভাবে একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের দাবি করেছেন সাধারণ মানুষ।

কলাপাড়া এলজিইডির প্রকৌশলী মো: দেলোয়ার হোসেন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান,এখানে আগে একটি কাঠের সেতু ছিল পরে উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্তে চাকামইয়াগামী পুরনো আয়রন ব্রিজের মালামাল দিয়ে ওই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, তিনি বিষয়টি জেনে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।




error: Content is protected !!