রাসেল কবির মুরাদ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী}প্রতিনিধি; কলাপাড়ায় সরকারী সাড়ে
চার বস্তা চাল নিয়ে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন রকম গুঞ্জন। বুধবার রাতে
ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের দেলোয়ার তালুকদারের বাড়ী থেকে
স্থানীয়রা সরকারী এ চাল আটক করার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মহিপুর থানা
পুলিশ ও মহিপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা। এরপর মহিপুর থানার এসআই বেল্লাল
ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় চৌকিদার রাসেল, ফোরকান মিয়া ও দেলোয়ার তালুকদারের
জিম্মায় সরকারী ওই চাল রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেল
পর্যন্ত আটককৃত ওই সরকারী চাল নিয়ে থানা পুলিশ কিংবা উপজেলা প্রশাসনের
পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এমনকি এ নিয়ে সুনির্দ্দিষ্ট
কর্তৃপক্ষের কোন সম্মানজনক ভালো কোনো বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের ফোরকান মিয়া জানান, বুধবার রাতে
গ্রামের দেলোয়ার তালুকদারের বাড়ীতে সরকারী ওই সাড়ে চার বস্তা চাল রাখেন
স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান জুয়েল ও তার সহযোগী ফারুক সিকদার।
বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা সরকারী ওই চাল আটক করেন। পরে স্থানীয়দের
সংবাদের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন মহিপুর প্রেসক্লাবের
সাংবাদিক ও থানার বেল্লাল দারোগা সহ পুলিশের একটি টিম। তারা ওই চাল জব্দ
করে গ্রাম চৌকিদার রাসেল সিকদার, দেলোয়ার তালুকদার ও আমার জিম্মায় রেখে
যায়। এরপর কি হয়েছে আমি জানি না।
মহিপুর থানার এসআই বেল্লাল বলেন, রাতে ওসি সাহেবের নির্দেশে পেয়ারপুর
গ্রামে গিয়ে ওই সরকারী চাল আটক করে স্থানীয় তিন জনের জিম্মায় রাখা হয়।
পরে এ বিষয় নিয়ে কি হয়েছে আমি জানিনা।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন,
বিষয়টি জেনেছি তবে এ বিষয়ে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। চেয়ারম্যানের
সাথে কথা বলে জানা গেছে এর সাথে ইউপি সদস্য জুয়েল’র কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
তদুপরিও বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।