কলাপাড়ায় বৈজ্ঞানিক গভেষনায় কার্প জাতীয় মাছ চাষে সফলতার শিখরে মৎস্যচাষীরা ॥

প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২১

রাসেল কবির মুরাদ,পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ

কলাপাড়ায় কার্প
জাতীয় মাছ নিয়ে তিন বছরের গবেষনায় সফলতা পেয়েছেন (এনএটিপি-২) পিবিআরজি
প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল
গবেষনাকারী অধ্যাপক। নতুন এই গভেষনায় গভেষকরা মাছ চাষে নতুন এক সফলতা ও
সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি ৪০০/৫০০ গ্রাম ওজনের কার্প জাতীয় মাছ
পুকুরে মজুদ করে ৭/৮ মাসের মধ্যে আড়াই থেকে ৩ কেজি ওজনে পরিনত করা হয়েছে।
যা দক্ষিনাঞ্চলের চাষিদের জন্য ছিল একটি অকল্পনীয় প্রয়াস। এ প্রযুক্তি
ব্যবহার করে অতি কমসময়ের মধ্যে অধিক পরিমান মাছ উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে
লাভবান হয়েছেন নীলগঞ্জ ইউনিূয়নের অনেক মৎস্যচাষীরা। অনেকেই নতুন এই
প্রযুক্তির মাছ চাষে হচ্ছেন আগ্রহী।

কার্প জাতীয় এ উপ-প্রকল্পের সুবিধাভোগী মো: মিলন খলিফা বলেন, কার্প
ফ্যাটেনিং প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছ চাষে এ অঞ্চলের মৎস্যচাষীদের মাঝে অনেক
উৎসাহ-ঊদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে এবং এ প্রযুক্তির মাছ চাষে তিনি নিজে এবং
এলাকার অন্যান্যরাও ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একুয়াকালচার বিভাগের
সহযোগী অধ্যাপক ও প্রধান গবেষক ড. আ: রাজ্জাক বলেন, দ্রুত বর্ধনশীল
হওয়ায় চাষীসহ স্থানীয় বাজারে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প ও কমন
কার্প মাছের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। অন্যদিকে এর আগে কার্প জাতীয় জাতীয় মাছ
চাষ করে বাজারজাত করতে দক্ষিনাঞ্চলের চাষীদের দুই থেকে তিন বছর সময়
লাগতো, ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের বেশি হতোনা। এতে অনেক চাষীই কার্প
জাতীয় মাছ চাষে আগ্রহ হারিয়েছে। তাই সুস্বাদু কার্প জাতীয় মাছের চাহিদা
তৈরি করতেই এ পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।




error: Content is protected !!