নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
খুলনা মহানগরীতে খানজাহান আলী খানার মশিয়ালী এলাকার ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি জুয়েল ও মুরাদ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জানা যায়,আজ (২১ আগস্ট) শুক্রবার বিকেলে বিজ্ঞ চীফ ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মহানগর হাকিম এম,এম তরিকুল ইসলামের আদালতে তারা ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. এনামুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি জুয়েল ও মুরাদকে ১৮ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়। তিনদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার তারা দুজনে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলাটিতে এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সন্ত্রাসী শেখ জাকারিয়ার বাড়ির সংলগ্ন এলাকা থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি শেখ জাকারিয়া ও তার ভাই মিল্টনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য,গত ১৬ জুলাই রাতে খুলনা মহানগরীর ইস্টার্ন গেটের মশিয়ালী এলাকায় শেখ জাকারিয়া বাহিনীর গুলিতে নিহত হন আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের মশিয়ালী গ্রামের মৃত বারিক শেখের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৬০) ও একই গ্রামের মো. ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০)।
এসময়ে গুলিবিদ্ধ হন মো. সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন। গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম পরদিন সকালে মারা যান। অপরদিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে জাকারিয়ার চাচাতো ভাই জিহাদ শেখকে নিহত হয়। এ ঘটনায় মোট চারজন নিহতের ঘটনা ঘটে। পরে নিহত মো. সাইফুল ইসলামের বাবা মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় ২২ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের (যার নং-১২, ১৮-৭-২০২০ইং) করেছেন।