মোঃ ইউসুফ শেখ, খুলনা
আজ (বৃহস্পতিবার) খুলনা মহানগরের আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে নির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অনলাইনে শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় খুলনা মহানগরে উক্ত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হয়। আজ প্রথম পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জেলা ও উপজেলায় নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণ ভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে দেশের ৫০টি জেলা ও উপজেলার সাথে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে খুলনা প্রান্তে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনার মান্যবর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি, কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনার রেঞ্জ ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার, খুলনা মোঃ মাহবুব হাসান, খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক বলেন, “অনন্য সাধারণ এই উদ্যোগে মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম পালন, ইসলামিক সংস্কৃতি চর্চা ও মূল্যবোধের বিকাশের নিমিত্ত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পটি নিঃসন্দেহে সমগ্র মুসলিম বিশ্বে ইসলামের প্রসার ও উৎকর্ষ সাধনে গৃহীত পদক্ষেপ হিসেবে নজিরবিহীন ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী খুলনা জেলার একজন উপকারভোগী মুসল্লির সাথে কথা বলার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। খুলনা প্রান্ত থেকে একজন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি তার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এমন উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
জেলা সদর ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নির্মানাধীন অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন এ সকল মসজিদের প্রতিটিতে একসাথে ১২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদে একত্রে ৯০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। সারাদেশে এসব মসজিদে প্রতিদিন ৪ লাখ, ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ, ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবে। সাধারণ মুসল্লিগণ নির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নানাবিধ সুযোগ পাবেন। সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে, নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ইসলামিক গবেষণা ও দীনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষার ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, ইমামের প্রশিক্ষণ, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসের ব্যবস্থা।