মোঃমাসুদ পারভেজ,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ-
মোংলা উপজেলায় জেলা পরিষদের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯ থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়ে বেলা ২ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পরিষদের এ নির্বাচনে মোংলার সদস্য পদপ্রার্থী ছিলেন তিনজন।
মোংলা উপজেলার ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য পদে মোঃ আব্দুল জলিল শিকদার টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৩৯টি ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাবিবুর রহমান তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ ভোট এবং মোঃ আরিফ ফকির হাতি প্রতীক নিয়ে ২১ ভোট পেয়েছেন।
বিকেল ৩টায় ফলাফলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভোটের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সাবরেজিস্টার মোঃ জুবায়ের হোসেন।
এখানকার মোট ৯৪ ভোটের মধ্যে ৯৩ জন তাদের ভোটারাধিকার প্রয়োগ করেন। আর বাকী একজন ইউপি মেম্বর মামলায় জেলহাজতে থাকায় তিনি অনুপস্থিত থাকেন।
নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা কম হলেও কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিলো।
উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে এ ভোট গ্রহণ। তবে দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যেই সকল ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এদিকে এ নির্বাচনে সকাল ৯টায় সর্ব প্রথম ভোট দেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান ও সোয়া ১২টায় সর্বশেষ ভোট দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার।
প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। অফিসার্স ক্লাবে পৃথক দুইটি বুথে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেন ভোটার ও প্রার্থীরাও।
এ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সাবরেজিস্টার মোঃ জুবায়ের হোসেন বলেন, ৯৪ জন ভোটারের মধ্যে ৯৩ জন ভোট দেন, আর মাত্র একজন অনুপস্থিত ছিলেন। এ নির্বাচনী ফলাফলে অর্থাৎ বাগেরহাট জেলা পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৯ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মোংলার মোঃ আব্দুল জলিল।
সহকারী পুলিশ সুপার (মোংলা সার্কেল) হতে সদ্য পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আসিফ ইকবাল বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ, ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রার্থী ও ভোটারসহ সকলেই সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছেন।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে উৎসবমূখর পরিবেশে মোংলা উপজেলার জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজয়ী ঘোষণার পরই আব্দুল জলিলসহ তার লোকজন শহরে আনন্দ মিছিল করেন।