দেশবাসীর প্রতি ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আমীরে হেফাজত শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী দা.বা.

প্রকাশিত: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২০

আসলাম পারভেজ,হাটহাজারীঃ
৩১শে জুলাই রোজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজত আমীর, দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী দা.বা. দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মুসলিম জাতির জন্য হজ্জের মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসে আল্লাহ তায়া’লার নৈকট্য হাসিল করার বিশেষ কিছু ইবাদত উল্লেখ আছে, যেমন- হজ্জে বাইতুল্লাহ, আরাফার দিনের রোজা, পশু কোরবানি ইত্যাদি ।

ঈদুল ফিতরের পর বিশ্বমুসলিমের নিকট সমাগত হলো পবিত্র ঈদুল আজহা যা বিশ্বমুসলিমদের পাশাপাশি বাংলাদেশের মুসলমানদের নিকট মযা‍র্দাপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব।

তিনি বলেন, প্রতিবারের হজ্জে বাইতুল্লাহ ও ঈদুল আজহা উদযাপন আর এবারের উদযাপনে ভিন্নতা রয়েছে। আমরা বর্তমানে প্রতিকুল পরিবেশ অতিক্রম করছি। মহান আল্লাহ যদি রক্ষা বা ক্ষমা না করেন তাহলে বাঁচার কোন উপায় নেই। তাই এ মুহূর্তে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় করণীয় হচ্ছে আল্লাহর দিকে রুজু হওয়া ও তাওবা ইস্তিগফারের আমল বেশি বেশি করা।

আমীরে হেফাজত, দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মুবারকবাদ জানিয়েছেন। করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কারণে ঈদগাহ ময়দানের পরিবর্তে মসজিদে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত আদায় করার আহবান জানান।

তিনি বলেন, কোরবানির পশুকে খরিদের পর যত্ন সহকারে হেফাজত করতে হবে। নিজের জন্তু নিজেই জবেহ দেওয়া উত্তম।

হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’টি সাদা-কালো বর্ণের (বড় শিং বিশিষ্ট) নর দুম্বা কোরবানি করেছেন। আমি দেখেছি, তিনি দুম্বা দু’টির গর্দানে পা রেখে বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার বললেন। অতঃপর নিজ হাতে জবেহ করলেন। -সহিহ বোখারি: ২/৮৩৪

জবেহের সময় খুব গুরুত্বের সাথে রক্ত প্রবাহিত হয় মত রগ সমূহ কাটতে হবে।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) ঈদগাহে জবেহ করতেন এবং নহর করতেন। -সহিহ বোখারি: ২/৮৩৩
নিয়ম হলো- গরু, ছাগল, দুম্বা জবেহ করা হবে এবং উট নহর করা হবে। নবী করিম (সা.) এমনই করেছেন।

জবেহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জবেহকারীর ছুরি ভালো করে শান দেওয়া।
হজরত শাদ্দাদ ইবনে আওছ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহতায়ালা সব কিছুর ওপর অনুগ্রহকে অপরিহার্য করেছেন। অতএব যখন তোমরা জবাই করবে- তো উত্তম পদ্ধতিতে জবাই করো। প্রত্যেকে তার ছুরিতে শান দেবে এবং তার পশুকে শান্তি দেবে। -সহিহ মুসলিম: ২/১৫২

শাইখুল ইসলাম আরো বলেন, কোরবানি পশু জবেহের পর যাতে পরিবেশ দুষিত না হয় বর্জ্য -আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে রাখা বা মাটির নিচে পুতে ফেলা জরুরী।

তিনি বলেন, ঘরে বসেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন। সেই সঙ্গে দেশের এই প্রতিকূল সময়ে অনেকেই কোরবানি দিতে পারছেন না, সমাজের বিত্তবান তথা সামর্থবানদের এই দুঃসময়ে দরিদ্র, কর্মহীন, মধ্যবিত্ত, নিম্ম মধ্যবিত্ত প্রতিবেশী, গ্রামবাসী, আত্মীয়-স্বজন বা এলাকাবাসীর প্রতি খেয়াল রাখুন। তাদের কথা ভুলে যাবেন না। যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবেন। তাহলেই ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পাবে এবং মহান আল্লাহও যাজায়ে খায়ের দিবেন। সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্য, মুসলিম উম্মাহর জন্য ও সকল মাদারেসে কওমিয়্যার জন্য দোয়া করবেন।




error: Content is protected !!