নীলফামারীতে কারখানায় হামলা, আহত ১ থানায় এজাহার 

প্রকাশিত: ৯:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২২
মোঃ সাগর আলী, নীলফামারীঃ নীলফামারী সদর উপজেলা চড়াইখোলা নগর দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলস জনতা ব্যাংক সংলগ্ন নুরানী বেকারি কারখানাতে সন্ত্রাসী হামলা চলিয়ে কারখানা ভাংচুর, ২লক্ষ টাকা, ১৫হাজার টাকার সিকো-৫ হাত ঘড়ি, ৬০ হাজার টাকার দুইটি সর্ণের আংটি লুট করে নিয়ে যায়। বাধা দিলে ১জন গুরুত্বর আহত হন। হামলাকারিরা হলেন ঐ এলাকার নুরনব্বী মোঃ নিশাত বন্ড, রশিদুল ইসলাম, ইমরান বাদশা, লিটন মুন্সি, মোঃ লেবু, মশিউর রহমানসহ ১০/১৫ জন হেলমেড পরিহত। এবিষয়ে নীলফামারী সদর থানায় এজাহার প্রদান করেন ভুক্তভোগীরা।
এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানাযায়, মোঃ শাহাজান আলী কবিরাজের স্বত্ব দখলীয় জমিতে রুটি বিস্কুট তৈরীর কারখানা রয়েছে। কারখানাটি জাহিদুল ইসলামের নিকটে মাসিক ভাড়া দিয়েছে। ২০১৮ সালে ১০ বছরের চুক্তি নামায় ভাড়া দেওয়া হয়। শান্তিপুর্ণ ভাবে ব্যবসা বানিজ্য চলছে। অভিযুক্তরা ১০/১৫জন হেলমেট পরিহিত দলবদ্ধ ভাবে লাঠি, ছোড়া, লোহার রড, চাইনিজ কুরাল ইত্যাদি অস্ত্র সস্ত্রসহ বেআইনি ভাবে জামি দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেন। কারখানায় ঢুকিয়ে ভাড়াটিয়া জাহিদুল ইসলামকে কারখানা ছেড়ে দিতে বলে। কারখানা ছেড়ে না দিলে তাহা বন্ধ করে দিবে বলে হুমকি প্রদান করেন। জাহিদুল ইসলাম তার মুটো ফোনে মোজাহারুল হক কবিরাজকে উক্ত বিষয় অবগত করেন। তখন মোজাহারুল হক কবিরাজ কারখানায় ছুটে আসেন এবং বেআইনি ভাবে দখলের বিষয় প্রতিবাদ করিলে তাহার উপর হামলা চলিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে ও কারখানা হতে নগদ অর্থ লুট নিয়ে যায়। এলাকাবাসি তাকে গুরুত্ব রক্তাক্ত জখম  অবস্থায় উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
মোঃ শাহাজান হক কবিরাজ বলেন, কারখানাটি ভাংচুরের ফলে আমার ২লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়।
লুটপাট ও ভাংচুরের বিষয়ে নুরনব্বী মোঃ
নিশাত বন্ড,  মোঃ রশিদুল ইসলাম, মোঃ লেবু,  বলেন, জমিজমা নিয়ে আমাদের মাঝে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছে। লুটপাট ও ভাংচুরের বিষয়টি তারা কৌশলে এরিয়ে যান।
জানতে চাইলে নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ আব্দুর বউপ বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



error: Content is protected !!