এ জি মুন্না- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃনীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে ইউনিয়নের মাগুড়া চেকপোস্ট বাজারে রংপুর-জলঢাকা সড়কে ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনকারীদের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হোসেন শিহাব মিঞা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রণোদনার ২ হাজার ৫ শত টাকা প্রদানের তালিকা তৈরীতে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। প্রকৃত দরিদ্রদের বঞ্চিত করে সম্পদশালী ও বিত্তবানদের ওই সুবিধা প্রদানে তালিকা দাখিল করেন। তালিকায় পাকা বাড়ি, ১৫ থেকে ২০ বিঘা কৃষি জমির মালিক, স্বচ্ছল ব্যবসায়ীসহ তার নিকট আত্মীয়-স্বজনের নাম অন্তর্ভুক্তি করা হয়।
তারা তালিকা সংগ্রহ করে মানববন্ধনে দেখিয়ে বলেন, তালিকার ২৫০ নম্বরে ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হাইয়ের রয়েছে ২০ বিঘা কৃষি জমি ও পাকা বাড়ি। বাড়ির এলাকাটিও দেড় বিঘা জমির ওপর। তিনি এবারে আট বিঘা জমিতে ভুট্টা ও আট বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। রয়েছে হলুদ ও আদার আবাদ। ওই কৃষকের নামে রয়েছে খাদ্য বান্ধন কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চালের কার্ড। তালিকায় ২৬৬ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ওই কৃষকের ছোটভাই আব্দুল মতিনের নাম। তারও রয়েছে পাকা বাড়িসহ সম পরিমান কৃষি জমি। ওই দুই ব্যক্তি ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয়। একইভাবে ২৭০ নম্বরে সরকারপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামও ২৬৭ নম্বরের শরিফুল ইসলামের আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলেও তালিকায় নাম উঠেছে তাদের। তারা এসব অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন জেলা প্রশাসক বরাবর।
ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের সিদ্দিকা বেগম (৫৬) বলেন,“মুই গরিব মানষি হোয়াও এইলা দূর্দিনোত চেয়্যারম্যানের কাছোত কোন সুবিধা পানু না। সরকারের সুবিধা দেছে জমিওলা মানসিলাক”।
একই কথা বলেন মাগুড়া হাজীপাড়া গ্রামের মহসেনা বেগমসহ (৬০) অনেকে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, একটি কুচক্রী মহল কর্মসূচিকে ব্যাহত করার জন্য এ ধরণের অভিযোগ তুলছেন।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ ইউএনও আবুল কালাম আজাদ বলেন, অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।