বঙ্গোপসাগর ক্রমশই: উত্তাল হচ্ছে স্বাভাবিক জেয়ারের চেয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে নদ-নদীর পানি ॥

প্রকাশিত: ১১:২০ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২১

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ দক্ষিন উপকূলে
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আবারো বঙ্গোপসাগর ক্রমশই উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাগরের
বড় বড় ঢেউ তীরে এসে আছঁড়ে পড়ছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ নদী পানি
বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার সকাল থেকে দমকা হাওয়াসহ মাঝারী ও ভারী বৃষ্টিপাত
হচ্ছে। এরফলে ভোগান্তিতে পড়েছে নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ।
উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার ব্যাপক শংকায় রয়েছে স্থাণীয়রা। এদিকে লালুয়া
ইউনিয়নের বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে রবনাবাদ নদীর পানি ফের প্রবেশ করে
গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া মহিপুর সদর ইউনিয়নের নিজামপুর
গ্রামের বেড়ি বাঁধটি ঝুঁকিপুর্ন রয়েছে। প্লাবনের আশংকা করেছে ওই ইউনিয়নের
পাঁচটি গ্রামের মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে এবং
গভীর মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর
ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
তাই পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে
আবহাওয়া অফিস। সকল মাছ ধরা ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল
করতে বলা হয়েছে। সক্রিয় বায়ুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বেশ কয়েকদিন
ধরে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিজাম ম্যানেজমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন’র সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইন
আমির এ প্রতিবেদককে বলেন, সাগর প্রচন্ড উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে এসে
আছঁড়ে পড়ছে। এর ফলে সৈকতের ব্যাপক বালু ক্ষয় হচ্ছে।

কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য আরৎ সমবায় সমিতির সভাপতি মো: অনছার উদ্দিন
মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ৬৫ দিনে অবোরোধ থাকায় সাগরে মাছধরা কোন ট্রলার
নাই। বর্তমানে সাগর-বক্ষ উত্তাল রয়েছে বলে তিনি জানান।




error: Content is protected !!