আলী আজীম,মোংলা থেকে:
একুশের বইমেলা বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও ভাষা প্রেমীদের মিলন মেলা। বই মেলার মাধ্যমে কবি-সাহিত্যিক-লেখকরা নিজেদের লেখার মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি ও ভাষাকে দেশ-বিদেশে তুলে ধরেন। শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ধরেই বাংলাদেশে বইমেলা সম্প্রসারিত এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে। শুক্রবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মোংলা পোর্ট পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মোংলার পৌর কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্বরে তিনদিন ব্যাপী একুশের বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি একথা বলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার কমলেশ মজুমদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম সরোয়ার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস কামরুন্নাহার হাই, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূর আলম শেখ, চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মোঃ তারিকুল ইসলাম, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইস্রাফিল হোসেন হাওলাদার, প্রভাষক মনোজ কান্তি বিশ্বাস, পৌর কাউন্সিলর মোঃ শফিকুর রহমান, কাউন্সলর এস এম কবির হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মোঃ বাহাদুর মিয়া, শরিফ হোসেন, মোঃ আলামীন গাজী, ছরোয়ার হোসেন, মজনু গাজী প্রমূখ। এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি ফিতাকেটে তিনদিন ব্যাপী বই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। অন্যদিকে বই মেলা উপলক্ষে শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে শিশু চিত্রাঙ্কন, রচনা, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনায় ছিলো সুর ও বানী সঙ্গীত একাডেমী। এছাড়া বই মেলায় কবি মনোজ কান্তি বিশ্বাসের ”বুনন”, কবি শেখ এ সাঈদ ফারসী’র ”শতাব্দীর আহ্বান” এবং কবি আসমা আক্তার কাজল’র ”সোনালী ভোরের শুভ্র ঘ্রাণ” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি। বই মেলা আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি রবিবার পর্যন্ত চলবে। বই মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা, বাপাসহ অন্যান্য সংগঠনের শতাধিক বইয়ের স্টলে ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। বই মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।