মাসুদ আলম চয়ন,মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারে পুরাতন হাসপাতাল সড়কে আল-হামরা (প্রাঃ) হাসপাতালে ডেলিভারী রোগী মৌলভীবাজার জজ কোর্ট এর শিক্ষানবীশ আইনজীবি সাজবিন দেওয়ান (২৮)সহ স্বজনদের হাসপাতালে জোর পূর্বক আটক করে পিস্তল বাহির করিয়া শুট করিয়া প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় সেই অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীকে সনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ। মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই শরিফ বিষটি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে- গত ২৭ নভেম্বর রাত্র অনুমান ১২ ঘটিকায় মৌলভীবাজার শহরস্থ পুরাতন হাসপাতাল সড়কের আল-হামরা প্রাইভেট হাসপাতালে ডেলিভারী রোগী সাজবিন দেওয়ানকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তব্যরত অজ্ঞাতনামা ডাক্তার এবং কর্মচারীগণের আচরন সন্তোষ জনক না হওয়ায় তাকে নিয়া অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা করলে হাসপাতালের লোকজন রোগীকে জোর পূর্বক আটক করিয়া হাসপাতালে রাখার চেষ্টা করেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা লোক গেইটের সামন থেকে বাহির হইয়া হুমকি দিয়া বলেন যে, রুগিনীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য। তাহাতে অমান্য করা মাত্র ঐ অজ্ঞাতনামা লোক একটি পিস্তল বাহির করিয়া রুগিনীসহ স্বজনদের শুট করিয়া প্রাণে হত্যার হুমকি দেন। এ সময় হামপাতালের মালিক সিহাব,মার্কেটিং অফিসার অসিত, লিটনসহ কর্মচারীগণ ঐ অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীকে স্যার স্যার বলিয়া কাকুতি মিনতি করিয়া পিছু হটাইয়া নিয়া যায়। এ ঘটনায় গত ২৮ নভেম্বর সন্ধায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মোঃ মাসুক দেওয়ান মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবং গত ২৯ নভেম্বর মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইয়াছিনুল হক এর নেতৃত্বে মডেল থানার এসআই শরিফ ও এএস আই কালাম, আল-হামরা (প্রাঃ) হাসপাতালের ঘটনাস্থলসহ হাসপাতালের মালিক শিহাবকে জিঙ্গাসাবাদ করেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে, মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ড,তওহীদ আহমেদ বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেছি। আল-হামরা (প্রাঃ) হাসপাতালে লাইসেন্স আপডেট করা নেই। এ ধরনের ঘটনা পুলিশের তদন্তে ঘটনার প্রমানিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রোগী রাখার জন্য অস্ত্রধারীকে ব্যবহার এ বিষয়টি আপনী কি দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- সেটা অবশ্যই একটি অপরাধ। এ জন্য পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে। আমাদের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা গ্রহনের সুযোগ রয়েছে।