রুহুল আমিন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি।
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেয়ার কয়েকদিন পরই মারা যান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বড় ভাই মো. আব্দুর রাজ্জাক। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পরই স্বজন হারানোর কান্না দেখা যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের চোখে। বড় ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন কিশোরগঞ্জে। অশ্রুসিক্ত নয়নে অংশ নেন বড় ভাইয়ের জানাজায়।
আবারও কাঁদলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শুক্রবার রাতে করোনা অক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব ছোট ভাই মো. আবদুল হাই।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্নেহের ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে অনেকটা ভেঙে পড়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শনিবার সকালে ছোট ভাইকে একনজর দেখার জন্য সিএমএইচ হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
জানা গেছে, আজ বাদ জোহর ঢাকার পুরাতন বিমানবন্দরে আবদুল হাইয়ের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার মৃতদেহ রাখা হবে সিএমএইচ হাসপাতালের হিমঘরে।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী রোববার সকালে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মরদেহ কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে কামালপুরে গ্রামের বাড়িতে আনা হবে। সঙ্গে আসতে পারেন বড় ভাই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, শনিবার মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মরদেহ কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এটি পরিবর্তন হয়ে রোববার হতে পারে। তবে এখনও সবকিছু চূড়ান্ত হয়নি।
রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ট এক আত্মীয় জানান, রোববার সকালে বিমানে করে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মরদেহ মিঠামইনের কামালপুরে গ্রামের বাড়িতে আনা হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সঙ্গে আসবেন। ওই দিন কামালপুরে জানাজার নামাজ শেষে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, শনিবার অথবা রোববার মহামান্য রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই আবদুল হাইয়ের মরদেহ কিশোরগঞ্জে আনা হতে পারে। রাষ্ট্রপতিও আসতে পারেন। তবে সরকারিভাবে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।