সৌরভ পাল চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শায়েস্তাগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শাক সবজিসহ ফসলের।
পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আগাম বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ১০টি গ্রাম।
ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে ওই এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট। অনেক বাড়িঘরে উঠেছে পানি।
কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে একরের পর একর বোনো আউশ ফসলের মাঠ আর সবজি তলা। আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে এলাকা প্লাবিত হওয়ায় অনেক পুকুর ও ফিসারীর মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
শায়েস্তাগঞ্জে গত ৩ দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল।
এতে অনেক এলাকায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে উজানে টানা বৃষ্টির কারণে শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার নুরপুর ও শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের কাজিরগাও, নিশাপট, মররা, ডাকিজাঙ্গাল, লাদিয়া, চানপুর, আলগাপুর, চরহামুয়া সহ বেশ কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ওই দুই ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের ৮ শ একর ফসলের মাঠে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষ করে আউশের বীজতলা, বোনা আউশসহ সবজিতলা ২ ফুট পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
এ দিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খরস্রোতা খোয়াই ও সুতাং নদীর পানি শনিবার দুপুর ২টায় বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি ফলে প্রতিরক্ষা বাঁধ অনেকটা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।
এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে শায়েস্তাগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আম্বিয়া খাতুন বলেন টানা বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের বেশ কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানুষ পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। অনেকের ফসলের ক্ষতে পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান ইমরান বলেন টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারনে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মানুষের শাক সবজি ও মাছের খামারের ব্যাপক ক্ষতি হইছে।
উপজেলা থেকে এ বিষয়ে তালিকা করা হবে।