শ্রদ্ধা ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানালেন প্রখ্যাত দ্বীনে আলেম মাওলানা জমির হোসাইকে
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল ও সীমান্তজনদের তাহিরপুর উপজেলার কাউকান্দি বাজার জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম ও উপজেলার ক্বওমি মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক প্রখ্যাত দ্বীনে আলেম আলহাজ্ব মাওলানা জমির হোসাইনের নামাজের জানাজায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণের ঢল নামে।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় উপজেলার মরহুমের আমৃত্যু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাউকান্দি বাজার জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ময়দানে তার নামাজের জানাজায় কয়েক হাজার মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন।শ্রদ্ধা ভালোবাসা চোখের জলে শেষ বিদায় জানান প্রখ্যাত দ্বীনে আলেম আলহাজ্ব মাওলানা জমির হোসাইনকে।জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের জেষ্ট পুত্র মো. আহসান হাবিব। জানাজা শেষে এই আলেমকে উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের চরগাঁও নিজ গ্রামের পঞ্চায়েতি কবরস্থানে শায়িত করা হয়।আলহাজ্ব মাওলানা জমির হোসাইনের নামাজের জানাযায় অংশ নিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা হতেই উপজেলার কাউকান্দি বাজার জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ময়দান কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। জানাজায় সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাদ্রসা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আলেম সমাজ, সাধারন ধর্মপ্রাণ মুসল্লী, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্ধ,জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক সহ সুশীল সমাজের মানুষজনদের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে।উল্ল্যেখ,গত সোমবার উপজেলার বাদাঘাট বাজার জামে মসজিদে তাবলীগ জামাতের জোড় শেষে নিজ গ্রামের বাড়ি উপজেলার চরগাঁও গ্রামে ফেরার পথে বাদাঘাট কাঁশতাল সড়কে এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পতিত হন আলহাজ্ব মাওলানা জমির হোসাইন। মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে ওই দিন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তার শারিরীক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরদিন মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার ইউনিহ্যালথ স্পেশালইজড হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।মৃত্যুতালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ১ মেয়েসহ অসংখ্য সহকর্মী , শিক্ষার্থী ও গুণগ্রাাহী রেখে গেছেন।সুনামঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রামের মো. উম্মর আলীর জেষ্ট পুত্র আলহাজ্ব মাওলানা জমির হোসাইন জেলার তাহিরপুরের হাওর সীমান্তজনপদ কাউকান্দি বাজার জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হিসাবে টানা আড়াই যুগ(৩০) বছর দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু অবদান রেখে গেছেন।