স্টাফ রিপোর্টার।।
বহুল আলোচিত চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাজমুল হককে অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে গত কয়দিন ধরে নানা গুঞ্জন চলছিল চুনারুঘাটে। অবশেষে প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো সেই গুঞ্জনের।
মঙ্গলবার রাতে তার প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। তবে কি কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ওসি শেখ নাজমুল হক আজমিরীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালনকালে একটি মামলা সংক্রান্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া চুনারুঘাটে দায়িত্বকালীন সময়েও নানা অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
তিনি চুনারুঘাট থানায় দায়িত্ব পালনকালে উপজেলায় চোরাচালান, মাদক পাচার খুন- রাহাজানিসহ সামাজিক অপরাধ বেড়ে গিয়েছিল। চোরাচালান নিয়ে খুনের ঘটনাও ঘটে সীমান্ত এলাকায়।
যদিও তিনি মাদকসহ চোরাচালানের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এরপরও থামেনি চোরাচালান। অভিযোগ রয়েছে, প্রকাশ্যে মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে ঢাকঢোল বাজালেও সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারিদের সহযোগী বলে পরিচিত কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও চিহ্নিত ব্যক্তিদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন ওসি নাজমুল হক।
এ সুবাদে চোরাকারবারীরা কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে পাহাড়ী ছড়া দিয়ে চোরাচালানে সক্রিয় ছিল নির্বিঘ্নে । এমনকি আমুরোড বাজারে চোরাই গরু কেনাবেচা থেকে বড় একটা অংশ ওসির নামে পকেটস্থ করতো কতিপয় ব্যক্তি। এনিয়ে প্রায়ই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতো ওই বাজারে। এছাড়া সম্প্রতি চোরাচালান নিয়ে সীমান্ত রক্ষীদের সাথেও ওসির দুরত্ব তৈরি হয়েছিল বলে সূত্র জানায়।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি শেখ নাজমুল হককে প্রত্যাহারে ভুুুক্তভোগীদের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।