নীলফামারী সৈয়দপুরে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২০

এ জি মুন্না- নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
বাড়ির একমাত্র কন্যা সন্তান বয়স সবে মাত্র সাত। গত ১৭ দিন ধরে কোন কথাই বলছেনা সে। এমনকি যে কোন পুরুষকে দেখলেই আতকে উঠছে। এর মাঝে শরিরের ক্ষত স্থানে তীব্র ব্যাথা ও জ্বর নিয়ে দিন মজুর পিতা প্রতিদিন তাকে নিয়ে ছুটোছুটি করত চিকিৎসকের চেম্বারে-চেম্বারে। এভাবে অর্ধমাস পর এখন অনেকটা সুস্থ্য। তবে শিশুটির নিস্তব্ধতা ও ভয় কাটেনি।অবশেষে অনেক বুঝানোর পর তার নিরাপদ ভরসাস্থল বাবা-মায়ের কাছে মুখ খুলেছে।

বাড়ির পাশের অপর খেলার সাথির চাচার দ্বারা সে পাশবিক নির্যাতনের স্বিকার হয়েছে। অভিভাবকরা শিশুর মুখে ধর্ষনের এমন নির্মম ঘটনা শুনে বিস্মিত বনে যান। উপায়ন্তর না পেয়ে স্থানিয় কাউন্সিলরের পরামর্শে বুধবার (১৯ আগষ্ট) রাত সাড়ে ১২ টায় সৈয়দপুর থানায় গিয়ে লম্পট ওই যুবক এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভযোগ দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, শহরেরর পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের মুন্সি পাড়া এলাকার প্রতিবেশি শিশুর বাড়িতে খেলত যেত ৭ বছেরর ওই শিশু। প্রতিদিনের ন্যায় ঈদুল আজহার পরের দিন দুপুরে ওই বাড়িতে খেলতে যায়। এ সময় ওই বাড়িতে একা পেয়ে শিশুটিকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষন করে
প্রতিবেশি শিশুর চাচা এরশাদ (৩৫)। এতে সে মারাত্বক অসুস্থ্য হলে বাড়ির অন্য ঘরে অবস্থান করা তার ভাবি মনি আশরাফি শিশুটিকে আহতবস্থায় তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয় এবং প্রতিদিন শিশুটির শারিরিক অবস্থার খবর নেয়। তবে তারা এ ঘটনার কথা স্বিকার করেনি। এ নিয়ে ওই ওয়াডের কাউন্সিলর মোঃ মোহন জানান, এ ঘটনা শুনার পরই আইনি সহায়তার জন্য নির্যাতনের শিকার অসুস্থ শিশুর বাবা-মা’সহ থানায় গিয়ে লম্পট ওই যুবক এবং তার ভাবির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ।

এ ঘটনায় লিখিত এজহার প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চত করেন সৈয়দপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ আতাউর রহমান।




error: Content is protected !!