পরের জমিতে কাজ করে এসএসসি তে এ প্লাস, জগত চন্দ্রের সপ্ন ডাক্তার হবে।
এ জি মুন্না- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি :জগত চন্দ্রের ফোনটা যখন ক্রিংক্রিং শব্দে বেজে উঠলো তখন সে বাবার সাথে অন্যের জমিতে ধান কাটছে। ফোন বের করে দেখেন স্কুলের হেডস্যার ফোন দিয়েছে, ফোন রিসিভ করলেই জগত শুনতে পায় সে এ প্লাস পেয়েছে।
গতকাল রবিবার ৩১মে ফল প্রকাশ হওয়ার পর তার সাফল্যের খবর পুরো ‘জগত’ জানলেও জানত না জগত নিজেই। নীলফামারী জলঢাকার মোবারক হোসেন অনির্বাণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগে এ প্লাস নিয়ে উদীর্ণ হয় জগত চন্দ্র। নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার দিনমজুর চাটি বর্মণের ছেলে জগত চন্দ্র, বাবার সাথে পরের জমিতে কাজ করে সে।
‘আমি জানতাম না আজ এসএসসির ফল বেরোবে। বাবার সঙ্গে অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করতে গিয়ে দুপুরে হেড স্যারের ফোনে জানতে পারলাম আমি এ প্লাস পাইছি। আমার তো পড়ালেখা বন্ধ হয়েই গিয়েছিল। তার পর হেড স্যার আমার পড়ালেখার দায়িত্ব নেন। পরে আমি আবার স্কুলমুখী হই”ভবিষ্যৎ কি হতে চাও জানতে চাইলে সে জানায় ডাক্তার।
জগত চন্দ্রের বাবা চাটি বর্মণ বলেন, ‘অভাবের কারণে আমি কখনো স্কুলের মুখ দেখি নাই। আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে রতন চন্দ্র তারও পড়ালেখা করার সুযোগ হয় নাই। যদি স্কুলের হেড মাস্টার রোকন চৌধুরী স্যার ছেলেটার দায়িত্ব না নিতেন তাহলে অনেক আগেই তার লেখাপড়া শেষ হয়ে যেত। আমার ছেলেটা ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আমার সাধ থাকলো সাধ্য নাই।