নড়াইল গণপূর্ত অফিস ভাংচুরের অভিযোগ,থানায় জিডি

প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, জুন ২, ২০২০

মোঃ বাবলু মল্লিক: নড়াইল গণপূর্ত অফিস ঠিকাদারি কাজের তালিকা ও চুক্তিপত্র দেখানোর দাবিতে অফিস কক্ষ ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা ছিত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান মুকুল ও সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনের বিরুদ্বে এ অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটননায় সোম বার(১জুন)রাত ১০টায় দিকে গণপূর্ত অফিসের উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাস নড়াইল সদর থানায় একটি সাধারন ডাইরী (জিডি)করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার দুপুর দিকে আশরাফুজ্জামান মুকুল ও নিলয় রায় বাঁধন গণপূর্ত অফিসকক্ষ ভাংচুরসহ সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান,সরকাররি সম্পত্তি বিনষ্টকরণ ও প্রাণনাসের হুমকিসহ ত্রাস সৃষ্টি করে।সাবেক দুই ছাত্রলগের নেতা সোমবার দুপুরে প্রতমে গণপূর্ত অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ নাহিদ পারভেজের কক্ষে প্রবেশ করে ।তারা তালিকাভূক্ত ঠিকাদার না হওয়া সত্ত্বেও নির্বাহী প্রকৌশলীর কাজে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের কাজের তালিকা ও চূক্তিপত্র তাদেরকে দেখানোর জ্ন্য উত্তেজিত ভাবে কথঅ বলে। এক পর্যায়ে সাবেক দুই নেতা অফিস উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাসের কক্ষে এসে করোনা ভাইরাসের সাধারণ ছুটিতে যেসব কাজের চূক্তি হয়েছে,তার ফটোকপি চায়। এছাড়া তাদের কেন দরপত্র( টেন্ডার)আহবানের বিষয়ে অবগত করা হয়নি,তা জানতে চায় এবং ১০মিনিটের মধ্যে সব কাগজপত্র দেয়ায় দাবি জানায় তারা । একপর্যায়ে অফিসের উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাসকে তারা গালিগালাজ করে।এসময় নিলয় রায় বাঁধন চেয়ার তুলে হাবিবুর রহমানের মাথায় আঘাত করতে যায় । হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, তিনি মাথা সরিয়ে নিলে চেয়ারের আঘাতে টেবিলের কাঁচ ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে।এছাড়া আশরাফুজ্জামান মুকুল অফিসের টেলিফোন সেট,কলমদানি ও চেয়ার ভেঙ্গে ফলেছে এবং ফাইলপত্র ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।টেবিলের কাঁচের আঘাতে হাবিবুর রহমানের একটি আঙ্গুল কেটে গেছে।দাপ্তরিক নথিপত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে বাঁধা দেয় হাবিবুর রহমান ।এসময় তারা হাবিবুর রহমানের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন,চাঁদা না দিলে বাসায় যাওয়ার পথে হাবিবুর রহমানকে মেরে ফলার হুকমি দেয় বলে জিডিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে নড়াইল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশললী মোহাম্মাদ নাহিদ পারভেজ বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্বে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে । প্রয়োজনে মামলা করা হবে । জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অভিযুক্ত আশরাফুজ্জান মুকল বলেন, আমরা কোনো ভাংচুর করিনি । যদি কনো ভাংচুর করি, তাহলে অফিসের সিসি টিবি দেখে প্রমান করা হোক। গণপূর্ত অফিস ভাংচুরের বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াস বলেন, সোমবার রাত ১০ দিকে আশরাফুজ্জামান মুকুল ও নিলয় রায় বাঁধনের বিরুদ্বে জিডি পেয়েছি। তাদের বিরুদ্বে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে ।




error: Content is protected !!