জমে উটেছে হাটহাজারীতে ঈদ বাজার   করোনার মধ্যেও বৈচিত্র্য সন্ধানী মানুষের ছোটাছুটির শেষ নেই

প্রকাশিত: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২১

 

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী*** মহামারি করোনার মধ্যেও ঈদকে রঙ্গিন ও বণার্ঢ্য করে তুলতে বৈচিত্র্য সন্ধানী মানুষের ছোটাছুটির শেষ নেই। ফ্যাশনে নিজস্ব রুচির ছাপ দিতে অনেকে ছুটছেন দর্জি বাড়ীর দরজায় মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে কেনাকাটা। উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত কেউ যেন পিছিয়ে নেই। যাদের রুচি মূলত বুটিক নির্ভর নয়, তাদের বেশির ভাগই পা পড়েছে দর্জি বাড়ির দরজায়। সেলাইয়ের অস্বাভাবিক মুল্যবৃদ্ধির পরও ফ্যাশনে নিজস্ব রুচির ছাপ দিতে ভিড় বাড়ছে, দর্জির দোকান গুলোতে। দর্জি বাড়ীগুলোতে এখন কারো নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় হয় না। ঈদে বৈচিত্র সন্ধানী জনগণের ঈদ ফ্যাশনের চাহিদা মেটাতে দিনের সকাল থেকে রাতের সেহরী পর্যন্ত দর্জিরা সুই-সুঁতা নিয়ে যুদ্ধ করছে অনবরত। অধিক মুনাফা খাটিয়ে অনিদ্রা ও ক্লান্ত শরীর নিয়ে কাজ করার পরও সঠিক সময়ে সব অর্ডার সরবরাহের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন দর্জি কর্মকর্তারা। টেইলারিং সংশিষ্ট জিনিসের অস্বাভাবিক মুল্যবৃদ্ধির কারণে দর্জি বাড়ীর কর্মকর্তারা হয়ে পড়েছেন কোণঠাসা। 

সরোজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হাটহাজারীর সকল দর্জি দোকানগুলোতে চলছে এখন হইছঁই কারবার। ঈদের বাকি মাত্র আর কয়েক দিন থাকলেও তবে এভার প্রবিত্র শবেমেরাজের পর পরই ক্রেতারা পাঞ্জাবীর মার্কেটে ভীর করতে দেখা যায়। লক ডাউনের কারণে ব্যপক লোকসানে পড়ার আসংকায় তারা এখনো পর্যন্ত অডার্র নিচ্ছে দর্জিরা। তবে কয়েকদিন পর বন্ধ হয়ে যাবে অডার্র নেওয়া ।  হাটহাজারী পাঞ্জবী পাড়ায় আসছে পাশ্ববর্তী রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া সহ বেশ কয়েকটি উপজেলার পাঞ্জাবী ক্রেতাগণ। হাটহাজারী পাঞ্জাবী পাড়া পাঞ্জাবী সেলাই সুন্দর ও মুজবুদ বলে উত্তর চট্টলার বেশ কয়েকটি উপজেলার লোকজন এখানে এসে ভীড় জমায়। হাটহাজারী উপজেলার পাঞ্জাবী মার্কেটের  ইব্রাহিম টেইলার্স, আল-ফালাহ টেইলার্স,আরবী টেইলার্স, সাফা মারওয়া টেইলার্স, আল আনিক টেইলার্স,আল এমারাত টেইলার্স, আল-আমিন টেইলার্স ও আল- হেরামাই টেইলার্স, আল মদিনা ক্লোথ স্টোর এন্ড টেইলাস এসব টেইলার্স গুলোতে ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পাঞ্জাবী সেলাই বলে ক্রেতারা এসব দোকানে ঝুকছে বেশি। হাটহাজারী টেইলারিং দোকানে আসা এক ক্রেতা এ প্রতিবেদককে জানান, ঈদ হচ্ছে বছরের একটি বিশেষ দিন। এই বিশেষ দিনে পোশাকটিও তেমনি হওয়া চাই। এতে কোন খূঁত থাকা চলবে না। মনের চাহিদা বুটিকের কিংবা গার্মেন্টেসের রেডিমেন্ট পোশাক দিয়ে কখনো পূরণ হবে না, এবং স্বস্তিও পাওয়া যাবে না। তাই সেলাইয়ের দাম যদিও অনেক গুণ বেড়ে গেছে, এর পরও দর্জির কাছে অবশ্যই আসতে হচ্ছে নিজস্ব র“চিরবোধের পোশাক তৈরী করতে। 

হাটহাজারী উপজেলা মাকেটের পাঞ্জাবি সেলাইয়ের টেইলার্স মালিকরা জানান, এখন কাজ করেও তেমন কোন সুবিধা পাচ্ছি না, কারণ কিছুক্ষণ পর পর বিদ্যুৎ চলে যায় এবং তার মধ্যেও কর্মচারীদের অধিক মজুরী দিতে হচ্ছে পাশা পাশি চলছে কটোর লকডাউন। তাছাড়া কর্মচারীরা বেশি কাজের ঝুঁকি নিতে রাজি না। ইতিমধ্যে যে পরিমাণ অডার্র আছে সেই গুলো ঈদের শেষ দিনেও দিতে পারব কিনা চিন্তিত আছি। বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিংয়ের ফলে কাস্টমারকে সময়মত ডেলিভারী দিতে পারছি না। এই ছাড়াও সুতা, বোতম, রাবার সহ সব ধরণের টেইলারিং জিনিস পত্রের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে অনেক গুণ। 

অনন্যা বছরের চেয়ে এ বছর যুবকদের কাছে পাঞ্জাবির কদর বৃদ্ধি পেয়েছে সবচেয়ে বেশি রমজানের পূর্বে পবিত্র শবেমেরাজের ৮/১০দিন আগে থেকে পাঞ্জাবি টেইলার্স গুলোও থান কাপড়ের দোকানে ভীড় জমতে দেখা যায়। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দ মত পাঞ্জাবির কেটালক দেখে পাঞ্জাবি সেলাই দিচ্ছে। পাঞ্জাবি সেলাইয়ের মূল্য এবার সর্ব নিম্ন সারে ৪শ টাকা থেকে কাপর সহ সর্বচ্চ ১৪/১৫শ টাকা করে নিচ্ছে টেইলার্স মালিকরা। এর পর ও সকাল সন্ধ্যা ক্রেতারা ভীড় করছে পাঞ্জাবির কাপড়ের দোকান ও টেইলার্স দোকান গুলোতে।  




error: Content is protected !!