অন্যান্য বারের মতো এবার কক্সবাজারে বছরের বিদায়ী সূর্যাস্ত দেখতে নেই আগের মতো পর্যটক।

প্রকাশিত: ১২:২৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১

উমার রাযী।
কক্সবাজার প্রতিনিধি-
কক্সবাজারে অন্যান্য বারের মতো এবার বছরের বিদায়ী সূর্যাস্ত দেখতে নেই আগের মতো পর্যটক।
এই অবস্থার জন্য দুটি বিষয়কে দায়ী করছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে একটি হলো খাবারের দাম নিয়ে অপপ্রচার এবং এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এই কক্সবাজার। প্রতি বছর পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পরিবার পরিজন নিয়ে লাখো পর্যটকের ঢল নামে এই সৈকতে। অথচ সেই তুলনায় এবার আশানুরূপ পর্যটক নেই বললেই চলে।
সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, আগে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে কম করে হলেও ৯৫/৯৯ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম ভাড়া হয়ে যেত। এবারও হোটেল ব্যবসায়ীরা তেমন আশা করেছিলো। কিন্তু এবার পর্যটক সমাগম সেই তুলনায় কম দেখা যাচ্ছে। এই পর্যন্ত মাত্র ৪০/৫০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে।
যেই কক্সবাজার প্রতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে লাখো পর্যটকের সমাগম হয়। এবার এখানে পর্যটক নেই বললেই চলে। বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সুগন্ধা পয়েন্ট ২ হাজার পর্যটকও ছিল না। যে সুগন্ধা পয়েন্টে পা রাখার জায়গা থাকত না সে সুগন্ধা পয়েন্ট এখন পর্যটক নেই বললে চলে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা এর মূল কারণ মনে করেন, সম্প্রতি সময়ে কক্সবাজারে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার কারণে ও থার্টি ফার্স্ট নাইটের আয়োজন না থাকায় শূন্যতা বিরাজ করছে কক্সবাজারের পর্যটনে।
তারপরও যে সংখ্যক পর্যটক এসেছেন তাদের অনেকেই ‘সন্তানদের স্কুল ছুটির পর কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছে। উদ্দেশ্য ছিল স্বামী-সন্তানসহ সবাই মিলে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করার। কিন্তু এবারও কক্সবাজারে কোথাও থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠান হবে না। এ কারণে তারা খুব হতাশ।
কক্সবাজারে বর্তমান এই অবস্থায় তারপরও পুরোপুরি হতাশ নয় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মনে করেন পরিস্থিতি ঠিক থাকলে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে প্রচুর পর্যটক সমাগম হবে বলে আশাবাদী তারা।
এই দিকে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছেন, ‘বিচ্ছিন্ন’ কিছু ঘটনায় আমরা কিছুটা বিব্রত। তবে পর্যটকবান্ধব কক্সবাজার গড়তে তারা দ্রুত কাজ করে যাচ্ছেন।




error: Content is protected !!