তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্প সচল রাখতে সংস্কার মেরামতের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে
মো.সাগর আলী, নীলফামারী ঃ
দেশের সর্ববৃহতম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ।এই প্রকল্পটি ৯০ দশকে নির্মিত হয়।প্রকল্পটি খাদ্য-শয্য উৎপাদন বৃদ্ধি, দারিদ্র বিমোচন ও জীব-বৈচিত্র রক্ষায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করে আসছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কেপিআই ভুক্ত তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পটি রোদ, বৃষ্টি, ঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অভাবে তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের অপারেশন ডেকের জলকপাটে’র মরিচা ক্ষয়প্রতিরোধে রংকরণ.লেকাল মুড, অটোমুড, ওয়ার রোপ ও বৈদ্যুতিক মটর সিংহভাগ যন্ত্রাংশই ধারণ ক্ষমতা হালিয়ে ফেলে। আলোচিত তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পটি সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট যান্ত্রিক বিভাগ চ্যালেঞ্জিং মুখে পড়ে। তিস্তা ব্যারেজ সচল রাখতে সংস্কার ও মেরামতের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ২০২১ সালে যান্ত্রিক বিভাগ অপারেশন ডেকের যন্ত্রাংশ পূর্নস্থাপন ও সংস্কার মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চিটি দেয় পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে। ২০২১ সালের ৩০ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি“একনেক”বৈঠকে উন্নয়ন রাজস্ব খাতের আওতায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন সম্প্রসারণ”শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পের আওতায় জরুরী ওয়ার্ক অডারের অনুমোদন পেয়ে নীলফামারী’র ডিমলা ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের যান্ত্রিক বিভাগ রং করণের কাজের দরপত্র ও অপারেশন ডেকের যন্ত্রাংশ পূর্নস্থাপনের আহবান করে। এই দরপত্রের প্রতিযোগিতায় মেসার্স ইউনাইটেড ব্রাদাস লিমিটেড ও শাহ এন্ড এসোস্যুয়েট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কার্যাদেশ পায়। কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের অপারেশন ডেকের জলকপাটে’র মরিচা ক্ষয়প্রতি রোধে রংকরণ.লেকাল মুড, অটোমুড,
ওয়ার রোপ ও বৈদ্যুতিক মটর পূর্নস্থাপন ও সংস্কার মেরামতের কাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সময় পরির্দশন ও সিডিউল মোতাবেক চিন থেকে আমদানীকৃত যন্ত্রাংশ ও ক্ষয়প্রতিরোধী এপোক্সি পেইন্টিয়ের গুগতমান যাছাইসহ সর্বক্ষনিক তদারকীর ফলে চ্যালেজিং এই কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়িত হবে: বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন,
জানতে চাইলে নীলফামারী’র ডিমলা ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) রুবাইয়াত ইমতিয়াজ বলেন, প্রায় ৯০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের এ চ্যালেজিং কাজের গুগতমান ও সৌন্দর্যের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে ব্যারেজের কনক্রিট স্থাপনা ও স্টীল রেলিংসহ কন্ট্রোল বিল্ডিং রং করা হয়েছে।