আ’ লীগ নেতার উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ২:১৪ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২২
আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):
বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড (আলীপুর) আ’লীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান মোল্লার উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেলে কচুয়া উপজেলার আলীপুর ব্রিজ এলাকায় স্থানীয়রা এই কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, গজালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মোহসিন মোল্লা, বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি লিটন শেখ, বড় ভাই মোঃ আকরাম হোসেন প্রমুখ।
আহত আ’লীগ নেতা মোঃ হাফিজুর রহমান মোল্লার ভাতিজা প্রত্যক্ষদর্শী রফিকুল ইসলাম বলেন, রবিবার (০৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে বাদোখালী থেকে একটি জরুরী কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলাম পথি মধ্যে আলীপুরের একটি রাস্তায় নির্জন স্থানে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা করে। আমার গলায় ছুরি ধরে আলীপুর এলাকার আফছার মেখ, মিজানুর শেখ, মহিদ শেখ, তুহিন শেখ, রাসেল শেখসহ ১০-১২ জন চাপাতি দিয়ে মোঃ হাফিজুর রহমান মোল্লা চাচাকে এলোপাথারিভাবে কোপায়। এক পর্যায়ে মৃতভেবে ফেলে রেখে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সর্বশেষ পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমার চাচা বাঁচবে কিনা আমরা জানিনা।
সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি লিটন শেখ বলেন, যারা হামলা করেছে তারা সবাই জামাত-বিএনপির ক্যাডার। হামলার তিনদিন পরেও কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। হামলাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির আওতায় আনতে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
আহতের বড় ভাই মোঃ আকরাম হোসেন বলেন, এই আমলেও যদি আওয়ামী লীগের নেতাকে মার খেতে হয় তাহলে আর কোথায় যাব আমরা। তিনদিন হয় আমার ভাইয়ের জ্ঞান নেই। বাঁচবে কি না জানিনা। ওরা আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা করেছিল। হামলাকারীদের কঠিন বিচার চাই আমরা।
মালার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সঞ্জয় কুমার বলেন, মামলাটি আমরা খুব গুরুত্বের সাথে দেখছি। আমরা ইতোমধ্যে ইমরান নামের একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রবিবার (০৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে আফছার মেখ, মিজানুর শেখসহ কয়েকজন কুপিয়ে ও মারধর করে ফেলে রেখে যায় আ’লীগ নেতা মোঃ হাফিজুর রহমান মোল্লাকে। পরবর্তীতে আহতের বড় ভাই মোঃ আকরাম হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।



error: Content is protected !!