কলাপাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ রহিম নির্মান শ্রমিকের কাজ করে প্রশংসিত, ভাইরাল হলেন ফেইসবুকে ॥

প্রকাশিত: ১১:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৩

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  :  কলাপাড়ায় ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ
আ: রহিম নির্মান শ্রমিকের কাজ করে প্রশংসিত, লক্ষাধিক ভিউয়ারে ভাইরাল
হলেন ফেইসবুকে। ২০২২ সালের জুন মাসে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হাতপাখা প্রতিক
নিয়ে ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন হাফেজ আবদুর রহিম। শুরু থেকেই
তিনি চেষ্টা করছেন ইউনিয়াবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে। ইউনিয়ন পরিষদের ২৫
ফুটের সড়ক, টয়লেট ও ওজুখানা নির্মানের জন্য সরকারীভাবে বরাদ্ধ পান মাত্র
দেড় লাখ টাকা। বাজেট স্বল্প হওয়ায় তিনি নিজেই শ্রমিক নিয়ে শুরু করেন
রাজমিস্ত্রীর কাজ।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে দীর্ঘ ১ মাস নিজেই
রাজমিস্ত্রীর কাজ করে তৈরী করেন এসব স্থাপনা। এভাবেই দাপ্তরিক কাজের
পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান করছেন রাজমিস্ত্রীর কাজ। দীর্ঘ ১ মাস
ধরে শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন, ভাইরাল হয়েছেন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তিনি। তার এ কাজে অনেকটা খুশি সহযোগি
শ্রমিকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের আগে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই
স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুকুর ভরাট ও এলাকায় বেশ কিছু মসজিদ নির্মান এবং
মাদ্রাসা নির্মান করেছেন। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি এসব স্থপনা নির্মান
করেন। চেয়ারম্যানের এ কাজে শ্রমিকরা পেয়েছেন ব্যাপক উৎসাহ ও নায্য মূল্য।
চেয়ারম্যান কাজের নায্য মূল্য সঠিক সময়ে দেন বলে জানান তার সঙ্গে কাজ করা
সহযোগি শ্রমিকরা।

চেয়ারম্যানের সঙ্গে কাজ করা শ্রমিক এমাদুর রহমান জানান, সকালে আমরা কাজ
শুরু করার আগেই চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে এসে উপস্থিত হন এবং কাজ শুরু
করে দেন। তার সঙ্গে কাজ করে আমরা অনেক আনন্দিত। কারন তিনি সন্ধ্যায় কাজ
শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেন মজুরি দিয়ে দেন। ধুলাসার ইউনিয়নের চাপলী বাজারের
সত্তরোর্ধ্ব নেছার মিয়া জানান, চেয়ারম্যান ১ মাস ধরে শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ
করেছেন। এ রকমের চেয়ারম্যান আমি জীবনেও দেখিনি। তাকে স্বাদুবাদ জানাই।
দেশের সব চেয়ারম্যান যদি জনগনের সেবায় এরকমের কাজ করতো তাহলে দেশটা আরো
এগিয়ে যেতো।

এবিষয়ে নির্মান শ্রমিক, ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফেজ আবদুর
রহিম জানায়, সড়ক, টয়লেট এবং ওজুখানার জন্য মাত্র দেড় লাখ টাকা বরাদ্ধ
পেয়েছি। এটাকা দিয়ে মজবুতভাবে এসব স্থাপনা তৈরী করা সম্ভব না। আর আমি
আগেই বেশ কিছু মসজিদ মাদ্রাসা নির্মান করেছি। সেখানে শ্রমিকরা কাজ করেছে
তাদের সঙ্গে সহায়তা করেছি। সেই পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই আমি শ্রমিকদের সঙ্গে
রাজমিস্ত্রীর কাজ করে ইউনিয়ন পরিষদের মসজিদ, টয়লেট এবং ওজুখানা নির্মান
করেছি।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আপাতত দেখে
মনে হচ্ছে চেয়ারম্যান হাফেজ আবদুর রহিম কাজটি খুব ভালই করছেন, প্রশংসা
পাওয়ার যোগ্য। তবে নতুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দাপ্তরিক কাজে আরো
মনযোগী হতে হবে।




error: Content is protected !!