মোঃজামাল হোসেন লিটন,হবিগন্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের নদ-নদীগুলোর পানি বিপদ সীমান অনেক নিচে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্ভাবাসে নেই নদীতে পানি বৃদ্ধি বা বন্যার পূর্ভাবাস। কিন্তু হবিগঞ্জের হাওর এলাকায় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। পানি বৃদ্ধিতে বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। এই পানি বৃদ্ধির কারণ সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার পানি দ্রুত বেগে হবিগঞ্জের হাওরে প্রবেশ করছে ফলে বন্যার আতংকে আছেন হাওরবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জে বর্ষার শুরু থেকেই নিয়মিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর মাঝে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সারা দিন জেলার সর্বত্র থেমে থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। এই বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানির সাথে বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলার হাওর এলাকার অনেক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বানিয়াচং উপজেলার কুমরী গ্রামের তাজুল ইসলাম নামে এক কৃষক জানান, প্রতিদিনই হাওরে পানি বৃদ্ধির ফলে অনেক বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। কুমরী ও দূর্গাপুরসহ পৈলারকান্দি ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা গ্রামের আব্দুল হালিম জানান, এ বছর যে হারে পানি বাড়ছে তাতে করে অনেক এলাকায় বন্যা দেখে দেবে। পানির কারণে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তার নিজেদের ফিসারির মাছ রক্ষার জন্য প্রতিদিন জাল দিয়ে ঘের দেয়ার কাজ করছেন।
তিনি আরো জানান, হাওরে পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি কুশিয়ারা নদী দিয়ে অনেক মাছও হাওরে প্রবেশ করছে। এতে হাওরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত জানান, হবিগঞ্জের সকল নদীর পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে এবং বন্যার কোনো পূর্ভাবাস নেই। তবে বর্ষাকালে হাওরে পানি বৃদ্ধি এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখনও বিপদজনক কিছু হয় নাই।