তানিম বিল্লাহ, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা সদর বাজার এলএসডি রোডের কামারের দোকানগুলোর টুং টাং শব্দে আশপাশের সব মুখর হয়ে উঠেছে। ব্যাস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের সবকটি কামারের দোকানে চলছে কোরবানির পশু জবাই, মাংস কাটা এবং চামড়া ছিলানোর কাজে ব্যবহৃত চাপাতি, দা, ছুরি আর বঁটি তৈরির কাজ। ধারালো এই পণ্যগুলো তৈরি করতে লোহাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন কামার শিল্পীরা। ক্রেতাদের চাহিদামতো তৈরি করতে শিল্পীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তারা নিজ হাতে লোহা পিটিয়ে টুং-টাং শব্দে মুখর করে তুলেছেন প্রতিটি কামারের দোকান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে উপজেলার সবকটি কামারের দোকানের কামার শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন তাদের ব্যস্ততা বেড়েই চলছে। নিজেদের তৈরি এসব পণ্য উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে সরবরাহ করছেন তারা। ঈদুল আজহার অন্যতম উপসঙ্গ হচ্ছে পশু জবাই করা। আর জবাই করার অন্যতম উপাদান এসব ধারালো হাঁতুড়ি পণ্য। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কোরবানির সময়টাতে কাজের চাপ অনেক বেড়ে যায় কামার শিল্পীদের। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় তাদের আয়-রোজগারও। বছরের অন্যান্য সময় কামারদের দুর্দিন থাকলেও ঈদ এলেই যেন তারা সুদিনের দেখা পান। কোনোরূপ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই পৈতৃক পেশা হিসেবে কামার শিল্পীরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। বাধ্য হয়ে অনেকেই আবার পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছেন।
তাড়াইল সদর বাজার এলএসডি রোডের কামারের দোকানিরা বলেন, এই কামার শিল্পের সাথে আমাদের কয়েক পুরুষ জড়িত। দেশে কোভিট-১৯ এর কারণে এবার আগের মতো আমাদের তেমন ব্যস্ততা নেই বল্লেই চলে। গত বছর এই সময়টাতে খাওয়া-দাওয়া করার সময় পাইনি কিন্তু এবার তেমন তোড়জোড় নেই। তারা আরো বলেন, সারা বছর পশু জবাইয়ের এসব পণ্য ঈদ মৌসুম ছাড়া বিক্রি হয় না। তাই ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা একটু বেড়ে যায় প্রতি বছর কিন্তু মহামারি করোনার কারণে এবার কোনো ব্যস্ততা নেই।