শেরপুর,জেলা,প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে চুরির অপবাদে আলমাছ মিয়া (১৭) নামে এক স্কুল ছাত্রকে পিটালো আব্দুল বাতেন নামে বিচারকের ড্রাইভার। ঘটনাটি ঘটে ২২জুলাই ঝিনাইগাতি উপজেলার নলকূড়া ইউনিয়নের হলদী গ্রাম চৌরাস্তা বাজারে। স্কুল ছাত্র আলমাছ পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার সুমশ্চূড়া গ্রামের কৃষক আয়ুব আলীর ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়,ঘটনার দিন সকালে আলমাছ ঠেলা গাড়িতে করে হলদী গ্রাম বাজারে সবজি বিক্রি করতে যায়।
এ সময় ওই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে শেরপুর জেলা জজ কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেডের ড্রাইভার আব্দুল বাতেন ও তার লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই স্কুল ছাত্র আলমাছ কে চুরির অপবাদে হাত পা বেধে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এব্যাপারে ঝিনাইগাতি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেল জাহাঙ্গীর আলম,ঝিনাইগাতি থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক,ভারপ্রাপ্ত (তদন্ত) সরোয়ার হোসেন সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা গণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ বিচারকের ড্রাইভার হওয়ার সুবাদে, আব্দুল বাতেন দীর্ঘদিন থেকে সরকারি জমি দখল মিথ্যা মামলায় জরিয়ে এলাকার নিরহ লোক জনকে হয়রানি সহ নানাভাবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। এব্যাপারে ওই স্কুল ছাত্র আলমাছের পিতা মোঃ আয়ুব আলী,বাদী হয়ে তার ছেলেকে নির্যাতনের বিচার চেয়ে, শেরপুরের পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এ ব্যাপারে ড্রাইভার আব্দুল বাতেন বলেন, আমার ভায়ের দোকানে টাকা চুরি করায় এলাকার লোক জন তাকে ধরে মারপিট করে থানা পুলিশে দেয়।
ঝিনাইগাতির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে,ঘটনাটি তদন্ত চলছে।