আসলাম পারভেজ, হাটহাজারীঃ
বিশ্ববাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার স্বনামধন্য মুহাদ্দিস ও দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব শাইখুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
আজ ৩১শে জুলাই, জুমাবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক শুভেচ্ছাবার্তায় দেশ-বিদেশের সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহার উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, কুরবানী বিশ্ব ইতিহাসে এক নজিরবিহীন আত্মত্যাগের ঘটনা। মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম আ. এর প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাঈল আ. আল্লাহর রাহে কুরবানীর স্মৃতিচারণে মুসলিম উম্মাহ শতাব্দীর পর শতাব্দী কুরবানীর মহান ব্রত পালন করে আসছে।
বিশ্বমুসলিম ত্যাগের নিদর্শন স্বরূপ আল্লাহর হুকুম মোতাবেক, তাঁর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু জবেহের মাধ্যমে কুরবানীর যে আনন্দ-উৎসব পালন করে থাকে, তা মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম আ. এর সুন্নাত।
তিনি প্রিয় পুত্র ইসমাঈল আ. কে মহান আল্লাহর হুকুমে কুরবানি দেয়ার উদ্দেশ্য সাধন করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা উম্মতে মোহাম্মদী সা. এর জন্য পালনীয় বিধানে পরিণত করা হয়েছে।
কুরবানী হলো, ত্যাগ, তিতিক্ষা ও প্রিয়বস্তু আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করা। যা ইবরাহীম আ. করে দেখিয়েছেন। কেবল গোশত খাওয়ার নাম কুরবানী নয়। আল্লাহর রাহে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দেওয়া, তাকওয়া হাসিলের লক্ষ্যে পশুর গলায় নয় বরং সকল প্রবৃত্তির গলায় ছুরি চালিয়ে আল্লাহর প্রেমে পাগলপরা হওয়া হলো কুরবানীর তাৎপর্য
এই কুরবানী ঈদে আমরা আত্মীয় স্বজন, ইয়াতিম, গরিব, দুঃখী, মেহনতি মানুষের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো এবং তাক্বওয়া ও মানবতার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আল্লাহর রিজামন্দী হাসিলের চেষ্ট করবো।
হেফাজত মহাসচিব বলেন-সামর্থ্য না থাকায় অনেকেই কুরবানী করতে পারে না।সারা বছর এক টুকরো গোস্তও কিনে খেতে পারে না। এই করোনা মহামারির দরুন আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে এ বছর বহু মানুষ কুরবানী দিতে পারছে না। তাই বিশেষ করে সমাজের অবস্থাশালীদেরকে আশপাশের গরীব-দুঃখী ও অসহায় মানুষদের প্রতি খেয়াল রাখার আহবান জানান।