এমপি বাবুর উপস্থিতিতে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কয়রার গোবরা ঘাটাখালী-হরিণখোলা রিং বাধ সম্পর্ন।
শরিফুল ইসলাম, খুলনা, কয়রা প্রতিনিধি ঃ
গত ২০ জুন ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে কয়রা উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে ১১ টি স্থানে পাউবোর বেড়িবাঁদ ভেঙ্গে লোনাপানি লোকালয়ে প্রবেশ করে অর্ধশত গ্রাম তলিয়ে গেছে। ইতিমধ্য কিছু এলাকা পানি মুক্ত হলেও কয়রা বাজার ও উপজেলা পরিষদ এখন ও হাটু পানির নিচে। আজ ১০ জুন বুধবার সকালে কয়রা সদর ইউনিয়নে গোবরা ঘাটাখালী-হরিণখোলা রিংবাধ চাপান দিতে আসা জনগন কে উৎসাহিত করার জন্য সেখানে উপস্থিত হন খুলনা ০৬ আসনের মাননীয় সংসদ আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মোহসিন রেজা, উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান এ্যাড. কমলেশ কুমার সানা, মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান নাছিমা আলম,উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা, উপজেলা পকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাফর রানা, কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির,প্রফেসর নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হারুনর রশিদ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু প্রমুখ। এ সময় খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, পাইকগাছা-কয়রায় ১২১ কিলোমিটার ওয়াপদার বেড়ি বাঁধ ঝুকিপূর্ণ তার মধ্যে অধিক ঝুকিপূর্ণ ৭০ কিলোমিটার। দক্ষিণাঞ্চলকে বাঁচানোর জন্য শহীদ এম এ গফুরে এম,এন,এ অনুরোধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাইকগাছার আলমতলায় প্রথম বেড়িবাঁধ উদ্বোধন করেন। সেই বেড়ি বাধ নির্মানের পর থেকে এখন পর্যন্ত টেকসই বেড়িবাঁধ তৈরী করা হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অাবেদন করব নেদারল্যান্ডের আদলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে প্রিয় কয়রা বাসীকে পাউবোর বেড়ি বাধ ভাঙ্গা থেকে মুক্ত করুন। তারা এখন আর ত্রাণ চাই না, তাদের দাবি বাপ দাদার ভিটা ছেড়ে যেন অন্য কোথাও না যাওয়া লাগে সেজন্য টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের প্রাণের দাবি। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে নেত্রী কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। আপনারা যারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে প্রখর রৌদ্রের মধ্য কাজ করে রিং বাধ নির্মানের জন্য ঘাম ঝরিয়েছেন সকলের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ। টাকা বা অন্য কিছু দিয়ে আপনাদের শ্রমের মূল্য দেওয়ার সক্ষম আমার নেই। দলমতের উর্দ্ধে এসে কয়রাকে বাঁচার তাগিদে একসঙ্গে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করে লোনা পানি মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন সেই ঝড়ের আগ থেকে আপনাদের পাশে আছি এবং এখনো পর্যন্ত আপনাদের পাশে থাকবো। বাধ নিয়ে কেও নাটক করবেন না। কোন রকম অনিয়ম বা নাটক সহ্য করা হবে না। এ সময় কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, বাধ নির্মানে আসা হাজারো মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য এমপি বাবু আপনাদের পাশে এসেছে। আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠন আপনাদের পাশে আছে। সকল কে স্বেচ্ছাশ্রমে রিং বাধ নির্মানে আসা সকলকে ধন্যবাদ জানান।
উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, এমপি বাবু আমাদের পাশে আসায় জনগণ খুশি। জনগন স্বত্বস্ফুতি ভাবে বাধ নির্মান করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, রিংবাধ নির্মানে আস সকল জনগন কে প্রসাশনের পক্ষ থেকে চিড়া ও গুড়ের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। বাধ নিয়ে অনিয়ম কারীদের বিরুদ্ধে প্রসাশন শক্ত অবস্থায় থাকবে।
ইউপি চেয়ারম্যান হুময়ুন কবির বলেন, ইনশাল্লা আল্লাহর রহমতে আজ রিং বাধ নির্মান শেষ হবে। বাজারের সকল দোকান, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, মাছের আড়ৎ, সবজির আড়ৎ থেকে শুরু করে জনগনের স্বতঃস্ফুত অংশগ্রহন করায় আমার ইউপি পরিষদের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা। আমাদের ডাকে আপনাদের স্বতঃস্ফুত অংশগ্রহন করায় আমার পরিষদ আপনাদের কাছে চির ঋনি হয়ে থাকলে। আগামী কাল বাধ টেকশই করার জন্য আপনাদের সকলের উপস্থিতি কামনা