ডা:এস,এম ইব্রাহীমঃ- করোনাভাইরাসের মহামারির জেরে লকডাউন চলছে।তার আরেকটি কারন হলো শারীরিক পরিশ্রম না করার কারনে আলস্য ভর করা,খিদা না লাগা।তাই লকডাউনের মধ্যে অনেকেই খিদে না পাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। সবাই জানেন, পর্যাপ্ত আহার আমাদের শরীরের চালিকাশক্তি এবং আমাদের শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে।
মানসিক অবসাদই তার প্রধান কারণ বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
খিদে না পাওয়া মানেই শরীর বা মনের মারাত্মক সমস্যা। তাই বিষয়টিকে অবহেলা না করে সঙ্গে সঙ্গে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
# খিদে না পাওয়ার কারণ :
• মাত্রাতিরিক্ত উদ্বেগ খিদে এবং হজমশক্তি কমিয়ে দেয়। তাই সবার আগে মন শান্ত রাখতে হবে।কমাতে হবে উদ্বেগ।
• হতাশা খিদে না পাওয়ার আরেকটি কারণ। অত্যধিক হতাশা থেকে মস্তিষ্কে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। যা শরীরের সঙ্গে মানসিক অবস্থাও বদলে দেয়।ঘুম কমে যায় ফলে, খিদে কমে যায় স্বাভাবিক ভাবেই।
• কখনও কখনও প্রচণ্ড টেনশনে বমি বমি ভাব থেকেও খিদে কমে যেতে পারে। বদহজম দেখা দিতে পারে। তাই যেভাবেই হোক টেনশন লেভেল কমাতে হবে।
•কি কি করলে আপনি ভাল ও সু-স্বাস্থ্যবান থাকবেন।
• বাসায় প্রভাতে ও বিকেলে শারীরিক বেয়াম অবশ্যই করতে হবে তা হবে বিশ মিনিট বা নিম্নে ত্রিশ মিনিট।
• প্রতিদিন পরিবারে সদস্যদের নিয়ে কোনো এক মুহুর্তে হাঁসিখুশি গল্প আড্ডা দিতেই হবে।জোড়ে হাঁসার কারনে করোনারি হার্টের সমস্যা থেকে মুক্ত হবেন।রক্ত পরিশোধন পক্রিয়া সঠিক হবে।খাদ্য হজম পক্রিয়া সচল হবে।ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি পাবে।উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্ত থাকবেন।
• নিয়মিত ঘুমের অভ্যাস তৈরী করতে হবে।রাত জাগা শরীরের জন্যে মারাত্মক ক্ষতি।সঠিক মাত্রার ঘুম মানুষের শরীরের ম্যেটাবলিজম এক্টিবেট থাকে,এনার্জি রিকভার করে,শরীর সতেজ ও ক্লান্তিহীন থাকে।রক্ত চলাচল সঠিক ভাবে উঠানামা করে।