করোনায় ঈদের আনন্দ মানেই মৃত্যুর বার্তা ডেকে আনা

প্রকাশিত: ৪:১৪ পূর্বাহ্ণ, মে ২৩, ২০২০

মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ: ঈদ হলো ঘরে ফেরার গল্প, সকলের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার গল্প। এবারের ঈদের গল্পটা সবার কাছেই ভিন্ন। গত বছরের ঈদ যেখানে সম্পূর্ণ আনন্দের সাথে পালন করেছিলাম সেখানে ভাবতেও পারিনি এবারের ঈদটা এমন সাধারণ ভাবেই কাটাতে হবে।বিগত বছরের ঈদের আমেজ চলতেই ছিল। কিন্তু এ বছর আগের মতো কিছুই হবে না। করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যেখানে ঘর থেকে বের হওয়ায় বিপজ্জনক সেখানে প্রতিবারের মতো ঈদে বন্ধুদের সাথে, পরিবারের সাথে ঘুরতে যাওয়াটা এবার হবে না।চারিদিকে হাহাকার, এমন অসুস্থ পৃথিবীতে ঈদ পালন করতে হবে কখনো ভাবতেও পারিনি। এখন আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি আমাদের সকলের উচিত সবার পাশে থাকা। গত বছরের মতো এবারের ঈদটা হয়তো জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালন করতে পারব না। পরিবার, প্রিয়জনদের সুরক্ষার কথা ভেবেই ঈদের অনুভূতিগুলো বাড়িতে থেকেই ভাগ করে নেওয়া উচিত। সেই সাথে এমন ভয়াবহ অবস্থায় যদি ঈদের দিন কিছু অসহায় মানুষকে সাহায্য করা যায় তাহলে এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কি আছে। এখন যার যার ঘরে নিরাপদ তাই অন্য বারের মতো আনন্দের সাথে ঈদ পালন করতে না পারলেও সকলের সুস্থতা কামনা করে সাধারণ ভাবেই ঈদ পালন করা উচিত।প্রতিবারের ঈদের মতো এবারের ঈদ নয় যেন পুরোপুরি ভিন্ন । ঈদের সকালে গোসল করে বাবার সাথে সালাত আদায় ও পড়ন্ত বিকেলে ভাই ও বন্ধুদের সাথে আড্ডা হয়। তবে এবার সেরকম কিছুই হবেনা , ঘরে বসে প্রতিদিনের মতই থাকতে হবে।যদি কেউ তার পরিবার ও দেশকে ভালোবাসে তাহলে পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত অতি প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হবেনা। আমরা সকলে জানি মুসলমানদের ধর্মীয় প্রধান দুটি উৎসব ঈদ। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। এক মাস রোজা রাখার পালিত হয় ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের দিনটাকে সুন্দর করার জন্য আয়োজন শুরু হয় অনেক আগে থেকেই। ঈদকে উপলক্ষ করে শুরু হয় কেনাকাটা। প্রতিটি বাড়িতেই ঈদের রান্না হয় ব্যাপক আয়োজনে। হরেক রকমের সেমাই সহ মুখরোচক বিভিন্ন খাবার। সকলে একসাথে নামাজ আদায় করে। বন্ধু, পাড়া-প্রতিবেশীরা একে অপরের বাড়িতে আসে। অনেক হৈ-হুল্লোড়, আড্ডা, আনন্দে পালিত হয় ঈদ। কিন্তু দেশের এই অন্ধকার সময়ে এবারের ঈদ পালিত হউক সাবধানতার সাথে। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ঈদ পালন করবো নিজ বাসায় নিজ পরিবারের সাথে। করোনার প্রকোপ থেকে বাচঁতে এড়িয়ে চলতে হবে সব জনসমাগম। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে পরিবারের সাথে আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করবো।তাই আমি একজন কলামিষ্ট হিসাবে আমার অনুরোধ বিত্তবানদের প্রতি অসহায় মানুষদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে এবং আমি মনে করি এই মহামারী করোনায় অসহায় মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ালে ঈদের আনন্দ পূর্ণতা লাভ পাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মহামারী করোনা ভাইরাস ঠেকাতে ও জনগণের খাদ্য সহায়তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ঠেকাতে সামাজিক দেখা সাক্ষাত বন্ধ করে ও ঈদে বাহিরে ঘুরাঘুরি না করে ঘরে বসে থাকাই এই ভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। কারণ এর কোনো প্রতিষেধক নেই। তাই এবার ঈদে বাহিরে ঘুরাঘুরি না করি, মৃত্যুর বার্তা ডেকে না আনি।

(মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ)
সম্পাদক, মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন




error: Content is protected !!