কলাপাড়ায় খালের বাঁধ কাটার খবরে কৃষক ও এলাকাবাসী খুশিতে আত্মহারা ॥
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চলছিলো
উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন (ক-শ্রেনী) পরিবারের শতভাগ পুনর্বাসন পর্যালোচনা
সংক্রান্ত মতবিনিয় সভা। বুধবার দুপুরের দিকে সভায় উপস্থিত হন পটুয়াখালী
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এমন সময় উপজেলা পরিষদের সম্মুক্ষে
বাদুরতলী খাল উন্মুক্তের দাবিতে মানববন্ধনে দাড়ায় টিয়াখালী ইউনিয়নের
কয়েকশো কৃষক। সভা শেষে গাড়িতে উঠতেই জেলা প্রশাসকের চোখে পড়ে এসব
কৃষকদের। এসময় তিনি তাদের কাছে গিয়ে জানতে চান খাল নিয়ে দু:খ-দুর্দশার
কথা।
এসময় স্থানীয় কৃষকরা জেলা প্রশাসককে জানান, প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে
বাদুরতলী খালটি ৬ বছর ধরে টিয়াখালী ইউনিয়নের হিরন শিকদার, সাবেক মেম্বর
ইসমাইল, বাদল ও মিজান বেপারীসহ বেশ কয়েকজন দখল করে মাছ চাষ করে আসছে এ
খাল ব্যবহার না করার জন্য কৃষিকদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। এতে কৃষকদের
কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। জেলা প্রশাসক বিষয়টি শুনে সঙ্গে সঙ্গে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হককে খালটি ২৪
ঘন্টার মধ্যে উন্মুক্তের নির্দেশ দেয়। এসময় মানববন্ধনে থাকা কৃষকরা
খুশিতে আত্মহারা হয়ে আনন্দ মিছিল শুরু করেন।
বাদুরতলী এলাকার কৃষক মো: ফারুক মিয়া এ প্রতিনিধিকে জানান, দীর্ঘ ৬ বছর
খাল থেকে এক কলস পানিও সংগ্রহ করতে পারিনি। আমরা ওই এলাকার মানুষ কোন রবি
শষ্য চাষ করতে পারিনি। আমাদের কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খাল
উন্মুক্তের খবরে আমরা অনেক আনন্দিত। অপর কৃষক আবদুল খালেক হাওলাদার
জানান, দীর্ঘ ৬ বছর তারা খালটি আটকে রেখে আমাদের জুলুম করেছে। আমরা খালটি
কোন ভাবে ব্যবহার করতে পারিনি। খালটি উন্মুক্ত হলে আমরা কৃষকরা অনেক
উপকৃত হবো।
টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা
সাংবাদিকদের জানান, এলাকার জনগনের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিলো খালটি উন্মুক্ত
করা। আজ জেলা প্রশাসক খালটি উন্মুক্তের ঘোষনা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন পর
টিয়াখালীর জনগনের বড় একটি আশা পূরন হতে যাচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক
গনমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে খালটি উন্মুক্ত করা
হবে। ভবিষ্যতে উপজেলার সকল সরকারী খাল যেন দখল না হয় সেদিকে আমাদের
দৃষ্টি থাকবে বলে তিনি জানান।