কলাপাড়ায় শুরু হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব ॥

প্রকাশিত: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২০

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি; কলাপাড়ায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বরাবরের
মতো প্রবারণা পূর্ণিমার উৎসব পালন করছেন। শনিবার সকাল থেকে পাড়ায় পাড়ায়
চলছে নানা রকম বাহারি পিঠা, পুলি, পায়েশ তৈরির ধুম। মোট কথা শুভ প্রবারণা
পূর্ণিমা উৎসবকে ঘিরে রাখাইনপল্লীতে এখন বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ।
আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণে শুরু হলো বৌদ্ধ
সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা। এ উৎসবকে ঘিরে
বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারগুলো সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে
সীমাবদ্ধতা থাকলেও রাতের আকাশে উড়ানো হবে ফানুস।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সূত্রে জানা গেছে, বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী আষাঢ়ি
পূর্ণিমাতে বৌদ্ধভিক্ষুদের বর্ষাব্রত শুরু হয়ে এ পূর্ণিমাতে শেষ হয়।
তিনমাস বর্ষাব্রত শেষে কার্তিকের পূর্ণিমার তিথিতে প্রবরণা উৎসব পালন
করেন। এ সময় বৌদ্ধবিহারগুলোতে তিন দিনব্যাপী গৌতম বুদ্ধের স্মরণে বিভিন্ন
ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। আর রাতে আকাশে ওড়ানো হয় নানা রঙের
ফানুস। এদিনে রাখাইনরা আপ্যায়ন, অভিলাস পূরণ, ধ্যানশিক্ষা ও
কর্মসম্পাদনের লক্ষ্যে প্রতিদিন সকালে পরিষ্কার পোশাকে বিভিন্ন বিহারে
গমন করে।

কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ ইদ্রবংশ ভাস্তে বলেন,
প্রবারনা পূর্ণিমা উপলক্ষে শনিবার সাকালে বৌদ্ধ বিহারে প্রথমে অষ্টমশীল
গ্রহন করে এবং বিভিন্ন পিঠা দান করা হয়েছে। দুপুরে প্রবারনা সম্পর্কে
ধর্ম করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় আকাশে ফানুস উড়ানো হবে।

রাখাইন অধিকার আন্দোলন কর্মী তেননান রাখাইন বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের
সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এ প্রবারণা পূর্ণিমা। এদিন গৌতম বুদ্ধ ধর্ম
প্রচার শুরু করেন। এ কারণে এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত
তাৎপর্যপূর্ণ। কুয়াকাটাসহ এ উপজেলার ২৮টি রাখাইন পাড়ার এ উৎসব একযোগে
পালন করেছে। তবে ফানুস উৎসব এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।




error: Content is protected !!