কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥
কুষ্টিয়া রাজনৈতিক ইতিহাসের এক উজ্জল নক্ষত্র কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আজগর আলী। কুষ্টিয়া রাজনীতির সফল রাজনীতিবিদ হিসেবে তার নাম স্বর্নাক্ষরিত। কুষ্টিয়া শহরের খোদাদাদ খান রোডের জসিমউদ্দিন জোয়ার্দ্দার ও সবেজান নেছা সাজু’র সুযোগ্য পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আজগর আলী। ১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অবদান যা ছিল তা ভোলার নয়, কারণ তিনি একজন সাহসী ও বীর যোদ্ধা। তার যুদ্ধে অংগ্রহনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকে এবং তার পরিবার কে অনেক আত্বত্যাগ করতে হয়েছে। জানা গেছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে তিনি যখন যুদ্ধ ক্ষেত্রে ছিলেন তখন তার যুদ্ধে যাওয়ার প্রয়াসে রাইফেলের বাট দিয়ে তার মা’কে নির্মমভাবে বেধরক মারপিট করেছিলো পাকহানাদার বাহিনীরা। যা এখনো প্রশ্ন তুললে বেরিয়ে আসে তার মুখ থেকে এমন হ্রদয় বিদারক ঘটনার কথা। যুদ্ধের সময় তার ক্ষেত্র স্থল ছিল বর্তমান ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর গ্রাম সহ আশপাশের গ্রাম গুলোতে। সেই সময় তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন গ্র“প কমান্ডার গোলাম মোস্তাফা, নজরুল ইসলাম, দবিরউদ্দিস জোর্য়াদ্দার, আব্দুল হাই এমপি প্রমুখ। যুদ্ধ শেষে বঙ্গবদ্ধুর নীতি ও আদর্শ ধারন করে স্বাধীন দেশে স্বাধীন ও স্বার্বভমত্ব অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত বৃহত্বর কুষ্টিয়াতে তৎকালিন বঙ্গবদ্ধুর নেতৃতে আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে যোগদান করেছিলেন এবং কুষ্টিয়াকে আওয়ামীলীগের একটি কেদ্রস্থল হিসেবে চিহ্নিত করেন এই উজ্জল নক্ষত্র। বর্তমান তিনি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আজগর আলী। পর্যায় ক্রমে কুষ্টিয়া রাজনীতিকে একটি রূপরেখায় রূপদান করেন জনাব আজগর আলী। বিগত দিনে যখন বিএনপি জামাতে নেতৃতে সরকার গঠিত ছিল তখন তাকে অনেক লাঞ্চিত হতে হয়েছিল বঙ্গবদ্ধুর সৈনিক ছিলেন বলে। কারন তারা কখনো যুক্তিযোদ্ধার চেতনায় বিশ্বাসী ছিলনা বলে। এমন রাজনৈতিক অস্থিতিশীল দিনেও তিনি রাজনৈতিক হাল ছাড়েননি বরং নেতা কর্মীদের সংগে থেকে ধরে রেখেছিলেন তার রাজনৈতিক জীবন। আর রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজ জেলার আওয়ামীলীগের অন্যান্য কর্মীদের সংগে নিয়ে পার করেছেন তার ব্যক্তিগত জীবন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় আজগর আলীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়ার সবকটি আসনে জয়লাভ করে ১৪ দলের প্রার্থীরা। জেলা আ’লীগের কান্ডারি আজগর আলী বলেন, ‘যারা দল করে তাদের সবারই একটি টার্গেট থাকে। দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগে আছি। কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই”। তবে নেত্রী বা দল যা বলবেন তার জন্য জান প্রাণ দিয়ে কাজ করব আমি। তিনি থাকতে চান বাকিটা জীবনে কুষ্টিয়ার রাজনীতির কান্ডারি হিসেবে। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়ার জেলার রূপকার কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি বাংলাদেশ আওয়ামীলিগের সম্মানীত যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জনাব মাহবুব উল আলম হানিফ সাহেবের সংগে থেকে কুষ্টিয়াকে বাংলাদেশেরে একটি মডেল ডিজিটাল জেলা হিসেবে রূপদানের জন্যে কাজ করে চলেছেন। আর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিরলস ভাবে কাজ করে যেতে চান কুষ্টিয়ার জন্য।