খুলনা বিভাগে করোনায় মৃত ২৫টি দাফন সম্পন্ন করেছেন খেদমতে খলক ফাউন্ডেশন
আবদুল্লাহ আল মামুন, যশোর প্রতিনিধি;
খুলনা বিভাগে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে তাদের দাফন দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছে
যশোরের মণিরামপুরের খেদমতে খলক্ ফাউন্ডেশন
প্রতিষ্ঠানটির প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ২৫ জনের মরদেহ দাফন করেছে।
সব ধরণের সাস্থ্যবিধি সুরক্ষাবিধি মেনে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া এলাকার মৃত ব্যক্তিদের দাফন করেছে প্রতিষ্ঠানটি
যশোর জেলার শার্শা থানার দক্ষিণ বুরুজ বাগান নিবাসীর জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন (40) করোনা আক্রান্ত হয়ে 29/07/20ইং রাত 2.00টায় ইন্তেকাল করেন।
মরদেহ দাফন কাফন সম্পন্ন করেছেন খেদমতে খলক ফাউন্ডেশন
মঙ্গলবার গভীর রাতে খবর পেয়ে তার দাফনের যাবতীয় দায়িত্ব তুলে নেন তারা
টিম সমন্বয়কারী মাওলানা মাহমুদ (01718-838108) এর নেতৃত্বে 6 সদস্যের একটি কাফন-দাফন টিম স্বাস্থ্যবিধি মেনে গোসল ও কাফন-দাফনের কাজ শেষ করেন।
এদিন অন্যা্ন্য দের মধ্যে ছিলো নাহিদ,রেজাউল,মুজাম্মেল,বাবু্ ।
জানা যায়, করোনা কিংবা এর উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে তাদের দাফনের যাবতীয় দায়িত্ব স্বেচ্ছায় কাঁধে তুলে নিচ্ছে খেদমতে খালক ফাউন্ডেশন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা গোসল থেকে শুরু করে দাফন-কাফনের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন।
খেদমতে খলক ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থাও আছে।
করোনা কিংবা উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেছেন
কিন্তু মৃত ব্যক্তির দাফন কাফনের জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না। এমন খবর পেলে মৃতের সমাহিত করার যাবতীয় দায়িত্ব কাধে তুলে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এজন্য প্রতিষ্ঠানের ০১৯১১-০১৯৭৪৪ এই নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করতে হয়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিধি সংক্রান্ত সব ধরণের গাইড লাইন অনুসরণ করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মরদেহ দাফন করে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে দাফন কাফনের সম কাজ সম্পন্ন করা হয়।
পিপিই পরে মৃতদেহ গ্রহন করেন খেদমতে খলকের দাফন-কাফন টিমের সদস্যরা।
এসময় দলের সবাই হ্যান্ড গ্লাভস ও সুরক্ষা গগলসসহ (চশমা) অন্যান্য সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার করেন।
খেদমতে খলক ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী মুফতি আজিমুদ্দিন জানিয়েছেন, করোনায় মৃতদের দাফন-কাফনের জন্য খুলনার ৬৩টি উপজেলায় তাদের ৭০টিম কাজ করছে। করোনা কিংবা উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেছেন; এমন খবর পেলে তাদের প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় দাফনের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন।