ঘূর্ণি ঝড় মিধিলির প্রভাবে শায়েস্তাগঞ্জে কৃষকের স্বপনে বৃষ্টির হানা, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশিত: ৯:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২৩

সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ ঘূর্ণি ঝড় মিধিলির প্রভাবে হবিগঞ্জে
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষকের স্বপনে দিনভর টানা বৃষ্টি হানায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । যার প্রভাব
পড়েছে জনজীবনে । সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন অফিস , স্কুল – কলেজ গামী
শিক্ষার্থী ভোগান্তি থাকেলও হাট-বাজার , দোকান-পাট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও খেটে খাওয়া মানুষের চরম
ভোগান্তি পড়তে হয়েছে । এর মধ্যে রিক্সা , ভ্যান চালক ও দিনমজুর পড়েন বেশি বিড়ম্বনায় । এদিকে
উপজেলা পৌর শহরে ও ইউনিয়নে গ্রামের বেশ কিছু নিচু এলাকায় বাসা- বাড়িতে বৃষ্টির পানি প্রবেশের খবর
পাওয়া যায় । এছাড়া ও অনেক জায়গায় বৃষ্টির পানি কৃষি জমি থেকে নিক্সাশন না হওয়ায় ফসল অনেক
ক্ষতি সাধন । তবে বৃষ্টি পাতে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন শাকসবজি , পাকা আমন ধান ও বুরো
ধানের বীজ। উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে শীতকালীন সবজি ফুলকপি , বাঁধাকপি , লাল শাক ,
শিম , আলু , ধনেপাতা , টমেটো , বোরোধানের বীজ, আমন পাকাধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । জানাযায় ,
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর ) মধ্য রাত থেকে ঘূর্ণি ঝড় মিধিলির প্রভাব পড়তে শুরু করে শায়েস্তাগঞ্জ
উপজেলা সহ আশপাশ উপজেলা এলাকায় । শুক্রবার (১৭ নভেম্বর ) সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হয়
একটানা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও ঘূর্ণি ঝড় । যে কারণে জনজীবনে নেমে আসে অস্বস্তি । বৃষ্টির কারণে উপজেলা
তেমন দেখা মেলেনি রিস্কা, টমটম , ভ্যান , টমটম । ফলে দূর দুরান্ত যাএী চলাচল , বিয়ে , শিন্নি , চিকিৎসা
, মৃত লাশদের পড়তে হয় অনেক বিড়ম্বনা । এমনকি ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিং এবং একটানা ৯ ঘন্টা
বিদ্যুৎ ছিল না । পৌর শহরের হতদরিদ্র রিক্সা চালক মোঃ নিনার মিয়া জানান , আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ ।
আমাদের কৃষি জমি নেই , বাজারে গেলে দ্রব্যমূল্য দাম বেশি কিন্তু বাজারে গেলে প্রায় ক্ষম পক্ষে ১হাজার টাকা
নিচে বাজার হয় না । আমরা পরিশ্রম করে দৈনিক ৫শ টাকা রোজগার করে কোনো মতো চলি । কেউ
আমাদের সাহায্য করে না । প্রতিদিন আমি জীবিকা তাগিদে আমাদের বৃষ্টির মধ্যে বের হতে হয় । বৃষ্টির
কারণে রিক্সা নিয়ে বের হলে পৌর শহরে দাউদ নগর বাজার , রেল পার্কিং , রেলগেইট , পুরান বাজার , নতুন
ব্রীজ এলাকায় মানুষ না থাকায় ভালো রোজগার হয়নি । ভ্যান চালক মোঃ সফিক মিয়া জানান , বৃষ্টির
মধ্যে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি কিন্তু কোনো রোজগার হয়নি । শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের নিশাপট গ্রামের কৃষক
মোঃ ছাইব উল্লা জানান , সরকারি ভাবে সার ও ঔষধ পাইনা কিন্তু বাহির থেকে ক্রয় করে নিতে হয় । আমি
দাউদ নগর এলাকার কিছু জমি বর্গা চাষী করে চলাহয় পরিবার নিয়ে । বৃষ্টির কারণে আমন পাকাধান ও
বোরোধানের বীজ তলা ও অনেক শাকসবজি , তরকারি ক্ষয়ক্ষতি সাধন হয়েছে । একই সাথে শীতকালীন
সকলের শাকসবজি , তরকারি , আমন পাকাধান, বোরোধানে বীজ ব্যপক ক্ষতি হয়েছে ।




error: Content is protected !!