মোঃ ইব্রাহিম,নোয়াখালী প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় নোয়াখালীর উপকূলীয় পাঁচ উপজেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের আশ্রয়কেন্দ্রের নিকটবর্তী আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস বলেন, জেলার উপকূলীয় সদর,সুবর্ণচর,হাতিয়া,কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে ৪৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে তিন লাখ লোক আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্তদেরকে নিকটবর্তী আইসোলেশন সেন্টারে এবং অবরুদ্ধ বাড়ির লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আলাদা কক্ষে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে তিনি বলেন, দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য পর্যন্ত শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও জিআর মজুদ রাখা হয়েছে। গবাদি পশুর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে মাটির কিল্লা। এছাড়া জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য মেডিকেল টিম, যানবাহন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে ছয় হাজার সাতশ স্বেচ্ছাসেবক।রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য ও নোয়াখালী জেলা ইউনিটের সেক্রেটারি শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, আপদকালীন সময়ের জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকা, একটন চিড়া, মুড়ি, তিন মন গুড়, পাঁচ হাজার বোতল বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্চাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, তার উপজেলায় ১৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৮০ হাজার লোক রাখা যাবে। এর পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজনে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা সমূহ প্রস্তত রাখা হয়েছে।