মোঃজামাল হোসেন লিটন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচদিনব্যাপী দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটেছে।
চন্ডীপাঠ, বোধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে ২২অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শুরু হয় বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
দেবী এবার এসেছেন দোলায়, গেছেন গজে চড়ে। এবছর চুনারুঘাট পৌরসভায় ৯টি, বিভিন্ন বাগানে ২৮টি ও বিভিন্ন গ্রামে ৪৬টিসহ মোট ৮৩টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয়েছে দূর্গাপূজা।
যদিও করোনা মহামারীর কারণে সংক্রমণ এড়াতে এবারের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে শুধু ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। বিভিন্ন পূজামন্ডপে
সরেজমিনে দেখা যায়, বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে মন্ডপে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল সীমিত আকারে। সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় পূজামন্ডপ। কিন্তু বিভিন্ন বাগানে রাতেও ছিলো জাঁকজমকপূর্ণ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা এবার ছিল না। জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়। পূজার সময় বেশির ভাগ ভক্তরা এবার অঞ্জলি নিয়েছেন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে।চুনারুঘাট পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় পাল বলেন, এ উপজেলায়
শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মূখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে দুর্গাপূজা। আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পূজা উদযাপনে সর্বাত্মক সহযোগিতা
করেছেন। চুনারুঘাট পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় পাল চুনারুঘাট পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মূখর পরিবেশে পূজা উদযাপনে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করায় সকল রাজনৈতিক দল, ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।