তিস্তা ব্যারেজের রংকরণ কাজের পর অভূতপূর্ব সৌন্দর্য, পাউবোর সাফল্যে জনগণ প্রশংসামুখর

প্রকাশিত: ১০:৪৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
মো: সাগর আলী, নীলফামারীঃ
তিস্তা ব্যারেজের রংকরণ কাজের পর অভূতপূর্ব সৌন্দর্য, পাউবোর সাফল্যে জনগণ প্রশংসামুখর হলেও একটি স্বার্থন্বেষী মহলের ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কেপিআইভুক্ত একটি প্রথম শ্রেণীর স্থাপনা। নির্মাণকালীন সময় হতে অদ্যাবধি ব্যারেজটি সম্পূরক সেচের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি তথা সমগ্র উত্তরবঙ্গের অবহেলিত জনপদের জন্য দারিদ্র্য বিমোচন করে প্রকল্পের সফলতা অক্ষুণ্য রেখেছে। তিস্তা ব্যারেজ প্রতিষ্ঠার পর হতে অদ্যাবধি প্রায় তিন দশকেরও অধিক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে রোদ, বৃষ্টি, ঝড় ও বিবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবং প্রতি বছর অনুন্নয়ন রাজস্ব খাতে মেরামত ও সংরক্ষণ কাজে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অভাবে ব্যারেজের গেটসমূহের রং, রাবার সীল ও অন্যান্য বিবিধ যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় জরুরী ভিত্তিতে উক্ত মেরামত কাজসমূহ সম্পন্ন করার তাগিদে উন্নয়ন রাজস্ব খাতের আওতায় বিগত ৩০/০৬/২০২১ খ্রিঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ”তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ” শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেন। উক্ত প্রকল্পের আওতায় তিস্তা ব্যারেজের রংকরণ কাজটি অনুমোদিত হয়। উক্ত কাজটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউনাইটেড ব্রাদার্স লিমিটেড, আলমনগর, রংপুর কর্তৃক শিডিউল মোতাবেক সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সময়ের পরিদর্নশ ও তত্ত্ববধানে কাজটি যথাযথভাবে সম্পাদিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এর সহিত আলোচনা করে জানা যায় যে, কাজটিতে শুধু ব্যারেজ এর গেট ও হোয়েস্ট রংকরন কাজ ধরা থাকলেও ব্যারেজের সৌন্দর্যের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ব্যারেজের কনক্রিট স্থাপনা ও স্টীল রেলিং সহ কন্ট্রোল বিল্ডিং ও যথাযথভাবে রং করা হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ এর জন্মলগ্ন হতে অদ্যাবধি এই ধরনের দৃষ্টিনন্দন ও সুষ্ঠু কাজ তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পে বাস্তবায়িত হয়নি। খোলা চোখে দেখলেও যে কেউ কাজটির গুনগত মান বুঝতে পারবে। এই প্যাকেজে স্ক্র্যাপিং, স্যান্ড ব্লাস্টিং,  প্রাইমিং কোট, মরিচা ও ক্ষয় প্রতিরোধী এপোক্সি পেইন্টিং, পুরাতন রাবার সীল সরবরাহসহ পরিবর্তন কাজ, , গ্রীজিং ইত্যাদি সম্পন্ন করা হয়। বর্ষাকালে কাজটি করা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিলো। যথাসময়ে শেষ করায় এখন ব্যারেজ এলাকাকে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটনস্থল হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যারেজ এলাকায় পর্যটক সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে এলাকাবাসীসহ দেশের সচেতন নাগরিক মহল সবাই পাউবোর সাফল্যে প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী রুবাইয়াত ইমতিয়াজ (যান্ত্রিক) বলেন, পাউবোর এই সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে এলাকার এক অসাধু ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে তিস্তা ব্যারেজের রংকরণের কাজে প্রতিনিয়ত নেতিবাচক মনোভাব  প্রকাশ করে চলেছে। ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্রযুক্তি আইনে মানহানির মামলাসহ যথাযথ আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।



error: Content is protected !!