নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে মামলায় ঘর ছাড়া হয়েছে বিএনপি
নেতাকর্মীরা। ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে নন্দীগ্রামে বিএনপির ২০জনের নাম উল্লেখ
করে ও আরও ১৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন উপজেলা
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ আহমেদ। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের
অভিযোগে রবিবার (২০ নভেম্বর) রাতে নন্দীগ্রাম থানায় এ মামলা দায়ের করেন। জানা গেছে,
রবিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায় থানা পুলিশ উপজেলা বিএনপি
কার্যালয় হতে যুবদল নেতা মনসুর রহমান ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আতিকুল ইসলামকে
গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ আহমেদ বলেন, কয়েকদিন
পূর্বে শেরপুরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে আমাদের
বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ছিলো। এ জন্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড
এলাকায় জমায়েত হচ্ছিলো। আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী নন্দীগ্রাম ফিলিং স্টেশনের
সামনে বসে চা খাচ্ছিলো। সেসময় পাশের উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে তঁাদের
নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলো। এর কিছুক্ষণ পর ওই কার্যালয় থেকে কয়েকজন বিএনপি
নেতাকর্মী বের হয়ে এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ২টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এরমধ্যে
একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায়
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যায়। যে কারণে পরে আর বিক্ষোভ মিছিল হয়নি। ককটেল
নিক্ষেপের ঘটনায় আমি বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছি। মামলা দায়ের করার পর
সোমবার সকাল ১০ টার দিকে ফোনে আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ফাঁসাতে
মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা জানিই না কোথায় কী ঘটে ছিলো।
রবিবার বিকেলে দলীয় কর্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিনের
কর্মসূচি চলছিলো। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই থানা পুলিশ এসে ২জনকে গ্রেপ্তার
করে থানায় নিয়ে যায়। আসলে আমাদের কর্মসূচি বানচাল করতেই ছাত্রলীগ কর্মীরাই
ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ককটেল
নিক্ষেপের ঘটনায় ২০জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে
থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ২জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। উপজেলা
বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন আদরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মিথ্যা
মামলার কারণে বিএনপির নেতাকর্মীরা আবারও ঘর ছাড়া হয়েছে। আমরা আদালত থেকে
জামিন নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।